BRAKING NEWS

Attack : বটদ্রবা থানা দহন কাণ্ড কোনও সাধারণ ঘটনা নয়, রয়েছে গভীর রহস্য, ফেবুকে দীর্ঘ পোস্ট ডিজিপির

গুয়াহাটি, ২২ মে (হি.স.) : বটদ্রবা থানা দহন কাণ্ডকে কোনও স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করছে না অসম পুলিশ। গতকাল নগাঁও জেলার অন্তর্গত বটদ্রবা থানায় পুলিশকর্মীদের ধরে ধরে গণপিটুনি, উন্মত্ত জনতা কর্তৃক থানায় অগ্নিসংযোগ, বহু মোটর বাইক পুড়িয়ে দেওয়া, থানার ভিতর থেকে জরুরি মামলার ফাইল বাইরে বের করে জ্বালিয়ে দেওয়া ইত্যাদি ঘটনার পর রাজ্যের পুলিশ-প্রধান তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দীর্ঘ বক্তব্য সংবলিত পোস্ লিখেছেন।

ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত লিখেছেন, ‘এ কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়, এর পিছনে রয়েছে গভীর রহস্য।’ তিনি লিখেছেন, ‘মদের নেশায় বুঁদ অভিযোগ পেয়ে গত ২০ মে (শুক্রবার) রাত প্রায় ৯:৩০ মিনিটে সফিকুল ইসলাম নামের ৩৯ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে বটদ্ৰবা পুলিশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। থানায় নিয়ে আসার আগে সে একটি রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল। রাতেই তাকে চিকিৎসা করে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছিল। পরেরদিন সফিকুলকে মুক্ত করে তার পত্নীর হাতে সমঝে দেওয়া হয়। থানায়ই তার পত্নী তাকে কিছু খাবার ও পানীয় দিয়েছিলেন। পরে তার স্বাস্থ্য খারাপ বলে অভিযোগের ভিত্তিতে সাফিকুলকে দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত হাসপাতালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।’

ডিজিপি মহন্ত আরও লিখেছেন, ‘দুৰ্ভাগ্যজনক এই মৃত্যুর ঘটনাকে আমরা গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। এছাড়া বটদ্ৰবা থানার ওসিকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি আরও কয়েকজন পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। যদি আমাদের দিক থেকে কোনও বিভ্ৰান্তি হয়, তা-হলে আমরা এর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা অবলম্বন করে অপরাধীদের শাস্তি দেব। এতে কোনও সন্দেহ নেই।’

থানা জ্বালিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে ডিজিপি লিখেছেন, ‘স্থানীয় অসামাজিক চক্ৰ নিজের হাতে আইন তুলে থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছেল। এর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে পুরষ-মহিলা জড়িত। পুলিশ বাহিনীর ওপর নিৰ্মম ও সংগঠিত আক্ৰমণের ঘটনা আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করতে বাধ্য করাচ্ছে।’ তিনি লিখেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনাকে নিহতের আত্মীয়দের শোকের প্ৰতিক্ৰিয়া বলে ভাবার অবকাশ নেই। এরা সিংহভাগই অপরাধী। এদের রেকৰ্ড থানায় ছিল। এই সব রেকর্ডই অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই গতকালের ঘটনাকে সাধারণ ঘটনা বলা যায় না। এর পেছনে গভীর রহস্য জড়িত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *