শ্রীদাম পালের মারকুটে ব্যাটিং, বৃষ্টিবিঘ্নিত ১২ ওভারের ম্যাচে কৈলাশহরকে ছিটকে ফাইনালে মোহনপুর

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ মে।। ছিল ৫০ ওভারের ডে ম্যাচ। কার্যত হয়েছে আইপিএল ধাঁচে ১২ ওভারের ম্যাচ। মারকুটে ব্যাটার্স এবং বিধ্বংসী বোলারদের নৈপুণ্যে মোহনপুর শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে। হারিয়েছে কৈলাশহরকে ১৯ রানের ব্যবধানে। এককথায়, বৃষ্টিবিঘ্নিত ১২ ওভারের ম্যাচে কৈলাশহরকে ছিটকে ফাইনালে মোহনপুর। কৈলাশহরের ব্যাটিং শুরুর রানের গতি আরো কিছুটা সময় ধরে রাখতে পারলে হয়তো খেলার ফলাফল বিপরীত হতো। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত রাজ্যস্তরীয় সিনিয়র ক্রিকেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে আজ মোহনপুর ও কৈলাশহর পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ, আউটফিল্ড সিক্ত থাকার ফ্যাক্টর – সব মিলে ৬ ঘণ্টা অপেক্ষার পর বেলা তিনটায় এমবিবি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হয়। ওভার কমিয়ে ১২-তে আনা হয়। টস জিতে কৈলাশহর প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। মোহনপুরকে আমন্ত্রণ জানায় ব্যাটিংয়ের জন্য। নির্ধারিত ১২ ওভারে মোহনপুর ৬ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে ওপেনার শ্রীদাম পালের ৪২ রান যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। শ্রীদাম ১৮ বল খেলে একটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪২ রান সংগ্রহ করে। এছাড়া, ইন্দ্রজিৎ দেবনাথের ১৪ বলে ২৮ রান এবং সমীর দেববর্মার ১৪ বলে অপরাজিত ১৯ রান উল্লেখ করার মতো। কৈলাশহরের বোলার বিপ্রজিত দেব কানুনগো, অমিয় কান্তি শর্মা, দেবপ্রসাদ সিনহা ও রোহন দে প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পেয়েছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কৈলাশহর ছয় উইকেট হারিয়ে ৮২ রান সংগ্রহ করতেই সীমিত ১২ ওভার ফুরিয়ে যায়। সেন্টু সরকার ২৮ রান এবং বিপ্রজিত দেব কানুনগো ২০ রান সংগ্রহ করলেও অন্যদের ব্যর্থতায় শেষরক্ষা সম্ভব হয়নি। শুরুতে স্কোরবোর্ডে ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫ রান দেখে অনেকেই কৈলাশহরকে ফাইনালিস্ট ধরে নিয়েছিল, কিন্তু মোহনপুরের বোলার সুভাষ চক্রবর্তী ৯ রানে এবং জয়দীপ দেব ১৯ রানে দুটি করে উইকেট তুলে নেয়। এছাড়া, অজয় সরকার ও চিরঞ্জীব দেবনাথ পেয়েছে একটি করে উইকেট। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ওপেনার শ্রীদাম পালকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচের খেতাব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ আগামীকাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এমবিবি স্টেডিয়ামে। এতে সদর ও মোহনপুর পরস্পরের মুখোমুখি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *