অরুণাচলের রাজধানীতে পাহাড়-ধসে বালক সহ হত দুই, মাটির নীচে আবদ্ধ মহিলা

ইটানগর, ১৬ মে (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরে ভয়ংকর ভূমিধসে দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ের মাটি ধসের নীচে এক মহিলা চাপা পড়ে আছেন। এই খবর লেখা পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এসকেভেটরের সাহায্যে মাটির নীচ থেকে মহিলাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছে এসডিআরএফ। নিহত দুজনক বছর ৫০-এর নগেন বৰ্মণ এবং ১৫ বছর বয়সি তাপস রায় বলে শনাক্ত করা হয়েছে। মাটির নীচে আবদ্ধ মহিলার নাম কুসুম রায় (৩৫)।

গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব রাজ্যে। বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে গেছ। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষণে ক্ষণে ধস নামছে। তবে এতদিন কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আজ সকালে রাজধানীতে সংঘটিত ঘটনায় আতঙ্ক ও শোক বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।

আজ সোমবার রাজধানীর পুলিশ সুপার জিমি সিরাম জানান, ঘটনাটি সচিবালয় সংলগ্ন পাঞ্জাবি ধাবার কাছে সংঘটিত হয়েছে। গতকাল রাতে আচমকা পাহাড়ের কাদামাটির স্রোত নেমে নীচে একটি ঘরকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। ঘরকে একেবারে ভিটে সহ বহু দূর নিয়ে গেছে পাহাড়ি মাটি-কাদার স্রোত। রাতে ঘরের আবাসিকরা ছিলেন নিদ্রামগ্ন। নিদ্রাবস্থাতেই এই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আজ সকালে খবর পেয়ে এসকেভেটর নিয়ে এসডিআরএফ ওই ঘরের কাদামাটি সরিয়ে দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এক মহিলা এখনও মাটির নীচে আবদ্ধ রয়েছেন। তিনি জীবিত না মৃত তা এখনই হলফ করে বলতে পারছেন না পুলিশ সুপার সিরাম।

এদিকে রাজধানীর দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের অধিকাংশ এলাকায় ধারা বর্ষণের ফলে বহু স্থানে ঘন ঘন ধস নামছে। তাই ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্ৰশাসন ইটানগরের সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নাহরলগুনের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বান্দরদেওয়ার নিকুমনিয়া প্ৰেক্ষাগৃহকে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির হিসেবে তৈরি রেখেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, ভূমিধসের ফলে রাজ্যের চার জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূৰ্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। শিলাপথার, পশ্চিম সিয়াং এবং পূর্ব সুবনশিরি হয়ে রাজ্যের চারটি জেলার সংযোগী জাতীয় সড়কও আজ সকালে সম্পূৰ্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।