পুলিশের তৎপরতায় খোয়াইয়ে কমছে চোরের দৌরাত্ম্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মে৷৷ অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ৷ খোয়াই থানার পুলিশ চলে বন্ধ করতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে৷ তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন এলাকার মানুষজন৷গরুচোর ও ছিঁছকে চোরের মাত্রাতিরিক্ত দৌরাত্ম্যের পর পুলিশ চোরের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান শুরু করেছে৷তাতে ইতিমধ্যেই ফলও কিছুটা ফলতে শুরু করেছে৷ চোর বাবাজীরাও বুঝতে শুরু করেছে তাদের রক্ষা নেই৷পুলিশের জালে এখন প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে চোর৷সাধারণ মানুষও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন৷বিগত দুই মাস যাবত চোরের ক্রমবর্ধমান উপদ্রবে খোয়াই শহরে জেরবার অবস্থা৷পুরো শহরকে গ্রাস করেছে চোরের আতংক৷মানুষের রাতের ঘুম উবে যেতে বসেছে চোরের বেলাগাম তান্ডবে৷ প্রতিরাতেই খোয়াই শহরে চোরেরা হানা দিচ্ছে দোকানপাট সহ ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে৷ চোরের দল বিক্রির জন্য মজুত করে রাখা দোকানপাটের হরেক রকমের মালামাল তুলে নিয়ে যাচ্ছে চোরের দল৷চোরের দৌরাত্ম্য আর সীমাহীন তান্ডব রোধে পুলিশ কার্য্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে সক্রিয় হয়৷ নিষ্ক্রিয় মনোভাবে কাঠিয়ে রাতে খোয়াই শহরে পুলিশের টহলদারীর জোরধার করতেই দোকানে চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর৷ গত কিছুদিন পূর্বে রাতে চোরের দল খোয়াই অফিসটিলা ট্রাফিক পয়েন্টে পাশে জনৈক ব্যবসায়ীর ভূষিমাল দোকানে হানা দেয়৷ দোকান ঘরের তালা ভেঙ্গে দোকানে প্রবেশ করার সময় টহলদারী পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলে চোরকে৷ তল্লাশি করে তালা কাটার বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ৷ ধৃত চোরের নাম সুখেশ দেবনাথ (১৯) বাড়ি পূর্বচেবরি শচীন্দ্রনগর এলাকায়৷ ধৃত চোরকে পুলিশ খোয়াই থানায় নিয়ে যায়৷ পুলিশ রিমান্ড চেয়ে ধৃত চোরকে আদালতে পেশ করেন৷ আদালত চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে৷ পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে প্রথমদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে খোয়াই মহকুমার বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হয়ে যাওয়া পাঁচটি সিলিন্ডার উদ্ধার করে৷ কিছু চুরি হয়ে যাওয়া মালামাল ও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ৷ প্রথমবার পুলিশ রিমান্ড শেষে পুনরায় আবার পুলিশ রিমান্ড চেয়ে চোরকে আদালতে পেশ করে৷ আদালত পুনরায় আরো চার দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে৷ পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য উদ্ধার করেছে তার ভিত্তিতে পহরমুরা এলাকার জনৈক ব্যবসায়ী দেবাশীষ দাস চোরের কাছ থেকে চুরি করা সামগ্রিক গুলি অর্ধেক মূল্যে ক্রয় করতেন৷ জনৈক ব্যবসায়ীকে চোরকে উৎসাহিত করার অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ আরো বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, জৈনিক ব্যবসায়ী চুরি হওয়া ৮০ মালি ক্রয় করেছে চোর দের কাছ থেকে৷ পুলিশ উভয়কে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪৫৭/৩৮০ ধারায় আদালতে পেশ করা হলে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাঠায়৷ পুলিশের এই অভিযানে খোয়াই শহরে আপাতত ছিটকে চোরদের উপদ্রব কিছুটা কমেছে বলে ধরনা৷সাধারণ মানুষও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *