আগরতলা, ১১ মে : এখন পাখির চোখ ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটি দল শক্তি বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রচারে যেমন ঝড় তুলছে শাসক দল বিজেপি। তেমনি মাঠে নামতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস সহ বাম সংগঠনগুলিকেও। তৃণমূল কংগ্রেস পুরভোটের আগে বেশ শক্তি প্রদর্শন করলেও বর্তমানে তাদের তেমন দেখা মিলছে না। নতুন করে রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আম আদমি পার্টি।
বুধবার আম আদমি পার্টির উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কথা জানান দলের নেতৃত্বরা। আম আদমি পার্টির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রভারি রাজেশ শর্মা বলেন, নির্বাচনে জেতার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হল মানুষের সঙ্গ। ত্রিপুরার মানুষ যদি চান আম আদমি পার্টিকে কাছে টেনে নিতে তাহলে এক মাস সময়ের মধ্যেও রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করা সম্ভব। খুব তাড়াতাড়ি ত্রিপুরার ঘরে ঘরে আম আদমি পার্টি পৌঁছে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
উদাহরণস্বরূপ সাউথ জোন ইনচার্জ সুমন লস্কর বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের গৌহাটি শহরে পুরভোটের মাত্র তিন মাস আগে কাজ শুরু করেছিল আম আদমি পার্টি। তিন মাসের মধ্যেই দল মানুষের মধ্যে এমন ভাবে মিশে যায় যে ৬০ টি আসনের মধ্যে একটি আসনে আম আদমি পার্টি জয়লাভ করে এবং ৪০ টি আসনে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও আম আদমি পার্টি জনগণের সাথে মিশে গিয়ে কাজ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে আগামী এক মাস আম আদমি পার্টি সদস্যপদ অভিযান চালাবে বলে জানান নেতৃত্বরা। এই এক মাসে নির্ধারণ করা হবে কোন জেলা থেকে কতজন লোক আম আদমি পার্টির সঙ্গে কাজ করবেন। তারপরে কেন্দ্রীয় কমিটিও গঠন করা হবে বলে জানান রাজেশ শর্মা। প্রতিটি জেলা থেকে একজন সদস্য এই সদস্যপদ অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও চারটি জোনের জন্য প্রভারীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর ত্রিপুরার জন্য সুমন্ত দেবনাথ, ধলাই জেলায় নিতা দেবী চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় শক্তি দেব এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় সুমন লস্করকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা পুরভোটের আগে শক্তি প্রদর্শন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। হেভিওয়েট নেতৃত্বদের রাস্তায় নামিয়ে চলছিল ভোটের প্রচার। অনেক বার উড়ে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে নির্বাচন শেষ হতেই তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই গা ঢাকা দিয়েছে। এবার আম আদমি পার্টি ত্রিপুরার মাটি কতটা আঁকড়ে ধরতে পারে সেটাই দেখার।