BRAKING NEWS

Narendra Modi : অসমের ক্যানসার হাসপাতালগুলি দক্ষিণ এশিয়া সহ উত্তরপূর্বে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষমতা বাড়াবে : প্ৰধানমন্ত্ৰী

ডিব্ৰুগড় (অসম), ২৮ এপ্রিল (হি.স.) : অসমে গড়ে ওঠা ক্যানসার হাসপাতালগুলি দক্ষিণ এশিয়া সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষাবার ক্ষমতা বাড়াবে। পূর্ববর্তী সরকারের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন সাত বছরে হাসপাতাল চালু করাকে বড় অর্জন বলে মনে করা হত। আজ রাজ্যে একদিনে সাতটি হাসপাতাল খুলছে, ডিব্ৰুগড়ের খানিকর ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে বলেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নৰেন্দ্ৰ মোদী।

আজ বৃহস্পতিবার ডিব্রুগড়ে আসাম মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে রাজ্যপাল অধ্যাপক জগদীশ মুখি, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্ৰী সর্বানন্দ সনোয়াল, রামেশ্বর তেলি, ‘অসম বৈভব’ বিশিষ্ট শিল্পপতি রতন টাটা সহ রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নবনির্মিত ক্যানসার সেন্ট্রাল হাসপাতালের পাশাপাশি বোতাম টিপে বিটিআর-এর কোকরাঝাড়, বরপেটা, তেজপুর, যোরহাট, দরং এবং লখিমপুরে নবনির্মিত ক্যানসার হাসপাতাল জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া একই মঞ্চ থেকে গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, নগাঁও, গোলাঘাট, শিবসাগর, তিনসুকিয়া এবং নলবাড়িতে একটি করে ক্যানসার হাসপাতালের শিলান্যাসও করেছেন মোদী।

সাতটি ক্যানসার হাসপাতালের উদ্বোধন ও আরও সাতটির শিলান্যাস উপলক্ষ্যে বহু লক্ষ জনতার উপস্থিতিতে আয়োজিত সমাবেশে স্বভাবসুলভ উদাত্ত ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা শিক্ষা ক্ষেত্র প্ৰসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে দেশে মাত্র সাতটি এইমস ছিল। এর মধ্যে একটি দিল্লি ছাড়া কোথাও এমবিবিএস পড়াশুনা হত না, কোথাও ছিল না ওপিডি, কয়েকটি ছিল অসম্পূর্ণ। আমরা এ সমস্ত সংশোধন করে দেশে ১৬টি নতুন এইমস-এর ঘোষণা করেছি। এর মধ্যে গুয়াহাটিও রয়েছে। তিনি বলেন, গত সাত বছরে এমবিবিএস ও পিজিতে ৭০ হাজারের বেশি নতুন আসন যুক্ত হয়েছে। সরকার পাঁচ লক্ষেরও বেশি আয়ুর্বেদিক ডাক্তারদের অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তারদের সমতুল্য বিবেচনা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যানসার শুধু অসমেই নয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কাছে এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গরিব ও মধ্যবিত্তরা। কয়েক বছর আগেও ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য রোগীদের বড় বড় শহরে যেতে হত। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য গত ৫-৬ বছর ধরে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মোদী বলেন, তাঁর সরকার স্বাস্থ্যের সপ্তঋষিদের উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। এর প্রথম প্রচেষ্টা হল অসুখের কোনও নির্দিষ্ট স্থিরতা নেই। এ জন্যই সরকার প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবার ওপর অনেক জোর দিয়েছে। তাই যোগব্যায়াম, ফিটনেস সংক্রান্ত ব্যবস্থার প্রচলন শুরু করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে শুরুতেই এ বিষয়ে সবিশেষ জানা উচিত। এ জন্য সারা দেশে লক্ষাধিক নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, লক্ষ্য হল, মানুষের তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা থাকা উচিত। তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চতুর্থ প্রয়াস দরিদ্রদের সেরা হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। এর জন্য, আয়ুষ্মান ভারত-এর মতো প্রকল্পের অধীনে ভারত সরকার পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে। পঞ্চম লক্ষ্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভালো চিকিৎসার জন্য বড় শহরগুলির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা। এ জন্য আমাদের সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় অভূতপূর্ব বিনিয়োগ করছে। আমাদের সরকারের ষষ্ঠ লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসকের ঘাটতি মেটানো, বলেন বক্তা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সপ্তম লক্ষ্য, স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিজিটালাইজেশন। সরকারের প্রচেষ্টা চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ লাইন থেকে মুক্তি, চিকিৎসার নামে সমস্যা থেকে নাগরিকদের রেহাই দেওয়া। এ জন্য একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে ও হচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্র এবং অসম সরকার চা বাগানে কর্মরত লক্ষাধিক পরিবারকে উন্নত জীবনযাপন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বিনামূল্যে রেশন থেকে শুরু করে হর ঘর জল যোজনার অধীনে উপলব্ধ সুবিধাগুলি অসম সরকার দ্রুত চা বাগানগুলিতে পৌঁছে দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *