হাফলং (অসম), ১৮ এপ্রিল (হি.স.) : অবশেষে দুদিন পর আজ সোমবার থেকে শিলচর-হাফলং, হাফলং-গুয়াহাটি সড়কপথে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ডিমা হাসাও জেলায় গত তিন-চারদিনের লাগাতার বর্ষণে শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের নৃরিমবাংলো থেকে জাটিঙ্গা অংশের এন লেইকুলের কাছে এস কার্ভে এলাকায় ধস নেমে ওই সড়কপথ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। শনিবার ওই সড়ক থেকে ধসের মাটি সরিয়ে শুধু হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ প্রশমন বিভাগের পক্ষ থেকে এন লেইকুল ও মাহুরের মধ্যবর্তী অংশে ২০ মেট্রিকটনের বেশি মাল নিয়ে চলাচলকারী পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সাতদিনের জন্য।
এদিকে শিলচর-হাফলং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধস ও বড় মলকুই গ্রাম এবং দলুইচুঙ্গার কাছে জাতীয় সড়কের উপর পাহাড়ি নদীর জল বয়ে চলার দরুন ওই সড়কপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় পাহাড়ি নদীর জল জাতীয় সড়ক থেকে নেমে যাওয়ার পর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ধস বিধ্বস্ত এলাকাগুলিকে সংস্কার করার পর আজ সোমবার থেকে ছোট ও হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বালাছড়া থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত মহাসড়কের জন্য নির্মাণ সংস্থা পাহাড় কাটায় বালাছড়া থেকে বান্দরখাল অংশ কিছুটা বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। মাটি কেটে রাখার দরুন বৃষ্টি হওয়ায় ওই সব অংশ সম্পূর্ণ পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। এতে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যাত্রীবাহী ক্র্যুইজার। সোমবার শিলচর থেকে ও হাফলং-শিলচরের মধ্যে হালকা যানবাহন চলাচল করেছে।
এদিকে তিনদিন পর ডিমা হাসাও জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবাও স্বাভাবিকতা হয়ে উঠেছে। সোমবার বিকেল চারটায় ডিমা হাসাও জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। জিরিবাম-হাফলং ১৩২ কেভি লাইন বান্দরখালে বিকল হয়ে পড়েছিল। অবশেষে পাওয়ার গ্রিডের কর্মীরা গত তিনদিন ধরে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে মেরামতির কাজ করে সোমবার সমগ্র ডিমা হাসাও জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে তুলে।