আগরতলা, ১৬ এপ্রিল(হি. স.): গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের সাংবিধানিক স্বীকৃতির লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তিপরা মথা অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে জোট করবে। এই দাবি নিয়ে কোন আপোষ হবে না। ফেইসবুক বার্তায় এমনটাই স্পষ্ট করে দিলেন তিপরা মথা সুপ্রিমো তথা জেলা পরিষদের সদস্য প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তিনি একাংশ জনজাতিদের উপর বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, লড়াই করতে ইচ্ছুক হলে তবেই এগিয়ে আসুন। নইলে, ৭০ বছর ধরে যা হচ্ছে সহ্য করুন। কিন্তু, নিজে বিভ্রান্ত হয়ে অন্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় সিপিএম ২৫ বছর শাসন করেছে। কিন্ত, জনজাতিদের উন্নয়নে কাজ করেনি। ভারত সরকার প্যাকেজ দিচ্ছে। তার বদলে জনজাতিদের চাকুরী দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। কারণ, প্যাকেজের অর্থ ঠিকেদার, মন্ত্রী, বিধায়ক, এমডিসিদের কাজে ব্যবহৃত হবে। জনজাতিরা তাতে উপকৃত হবেন না। তাঁর সাফ কথা, প্যাকেজের অর্থের বদলে জনজাতিদের চাকুরী দেওয়ার প্রস্তাবে গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি ছেড়ে দেব, এমনটা ভাবার কোন সুযোগ নেই।
তাঁর বক্তব্য, গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের সাংবিধানিক স্বীকৃতির লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই জোট করবে তিপরা মথা। এক্ষেত্রে বিজেপি, সিপিএম কিংবা কংগ্রেস যে রাজনৈতিক দল ওই লিখিত প্রতিশ্রুতি দেবে তাদের সাথে জোটে যাবে তিপরা মথা। লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া জোটের প্রশ্নই আসে না, সাফ জানালেন তিনি।
তাঁর কথায়, ২০ হাজার চাকুরী জনজাতিদের সমস্যার অর্থনৈতিক সমাধানের জন্য চেয়েছি। গ্রেটার তিপরাল্যান্ড সাংবিধানিক সমাধানের জন্য চাইছি। তিনি বলেন, ভারত সরকারের সাথে এ-বিষয়ে আমরা কথা বলতে ইচ্ছুক। আমার চাইছি, ভারত সরকার ডাকুক আমাদের। কারণ, গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি এবং খালিস্তানী আন্দোলন এক নয়। তাঁর মতে, খালিস্তান দেশ থেকে আলাদা হওয়ার আন্দোলন ছিল। আমরা তিরঙ্গা পতাকা নিয়ে সীমান্তে বসে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে প্রস্তুত।
তিনি জনজাতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, লড়াই করতে চাইলে এগিয়ে আসুন। নইলে ৭০ বছর ধরে যা হচ্ছে সহ্য করুন। তিপরা মথা জনজাতিদের জন্য সাংবিধানিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক দাবি ছাড়বে না। গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের সাংবিধানিক স্বীকৃতির লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন ছাড়ছি না। তাই, অন্যের দিকে আঙ্গুল তোলার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন।তাঁর সাফ কথা, এক লড়াইয়ের সাহস দেখাতে হবে। তবেই, সফলতা মিলবে। তাই, গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি নিয়ে আপোষ করবে না তিপরা মথা।