BRAKING NEWS

Bangladeshi Arrested : ধর্মনগর ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটক বাংলাদেশের দুই মহিলা সহ নারী পাচার চক্রের পান্ডা

চুড়াইবাড়ি, ১১ এপ্রিল৷৷ গোটা ত্রিপুরা রাজ্যের ভারত বাংলা সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের দ্বায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছিল৷ আর জওয়ানদের এহেন কর্মকান্ডে ত্রিপুরাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা দিন দিন উর্ধমুখী৷ তাতে করে ত্রিপুরাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও যেমন প্রশ্ণচিহ্ণের মুখে, তেমনি ভাবনায় পড়তে হচ্ছে সীমান্ত এলাকার করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ প্রশাসনকে৷ অনুরূপ সোমবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর শহরের প্রান কেন্দ্র থেকে দুই বাংলাদেশী নাগরিক সহ নারী পাচার চক্রের এক চাইকে আটক করে ত্রিপুরা পুলিশ৷

জানা গেছে এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ধর্মনগর শহরের রেল স্টেশন সংলগ্ণ রাজবাড়ী ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় তিন মহিলার গতিবিধি দেখে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হয়৷ তারপর তাদের আটক করে খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর মহিলা থানায়৷ মহিলা থানার পুলিশ সন্দেহভাজন তিন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পারে, তাদের মাঝে সাজেদা খাতুন (২৪) এবং কাজুলী আক্তার (২৪) নামের দুই মহিলার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকায়৷ অপরজন চাই উদয়পুরের নার্গিস আক্তার(২৭)৷ বর্তমানে উভয়েই মহিলার থানার হেফাজতে রয়েছে৷ তাদের জোর জিজ্ঞাসাবাদ জারি রেখেছে পুলিশ৷ মঙ্গলবার ধৃতদের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হবে৷

এদিকে ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেববর্মা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আটককৃত দুই বাংলাদেশী নাগরিক অবৈধভাবে বিলোনিয়া অঞ্চলের ভারত বাংলা সীমান্ত টপকে রাজ্যে প্রবেশ করেছে৷তাদের রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিলোনিয়ার আমজাদ নগরের নারী পাচারকারী আব্দুল্লাহ সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করেছে বলে খবর৷ তারপর বিলোনিয়াতে তিনদিন থাকার পর বাংলাদেশী দুই মহিলা সাজেদা ও কাজুলীকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে আব্দুল্লাহ উদয়পুরের নার্গিস আক্তার নামের ঐ চাইয়ের হাতে তুলে দেয়৷ কথা ছিল তাদেরকে কাজের জন্য গৌহাটি পৌঁছে দিতে৷ সেই মোতাবেক চাই বিলোনিয়া থেকে রবিবার তাদের নিয়ে আসে আগরতলা বাধারঘাট রেল স্টেশনে৷ তারপর সেখান থেকে সোজা ধর্মনগর স্টেশনে আসে৷ সেখানে রবিবার রাতে স্টেশন সংলগ্ণ এলাকায় একটি হোটেলে রাত্রি যাপন করে তারা৷

আজ অর্থাৎ সোমবার বাসে করে গৌহাটি পারি দেবার কথাও ছিল তাদের৷ যদিও পুলিশি জেরায় ধৃতরা জানিয়েছেন, তারা কাজের সন্ধানে ভারতের মাটিতে এসেছে, আর উভয়েই বিবাহিত৷ সূত্রের খবর আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের মাষ্টার মাইন্ড আব্দুল্লাহর সাথে ধৃত চাই নার্গিসের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে৷ এখন দেখার বিষয়, ধৃত চাইকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রটিকে উৎখাত করতে ত্রিপুরা পুলিশ কি ভূমিকা পালন করে৷ সাথে দুই বাংলাদেশি মহিলা ভারতের মাটিতে কেন প্রবেশ করেছিল তাও খতিয়ে দেখুক পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *