আগরতলা, ৯ এপ্রিল : খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে বেশি করে সচেতন করে তুলতে হবে। সমাজের অন্তিম ব্যক্তিকেও খাদ্যের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জাগ্রত করতে হবে। আজ আগরতলার মেলারমাঠস্থিত এগিয়ে চল সংঘ প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধীনস্ত ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি শাখার পরিচালনায় আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে ‘ইট রাইট মেলা’-র (Eat Right Mela) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উপলব্ধ সবরকম সাকসব্জী, ফল, মাছ এইগুলির সঠিকভাবে আহার করলে শরীর সুস্থ ও সবল থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজে আমরা বিয়ের পর থেকেই সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অর্থ জমানোর উপর গুরুত্ব দিই। কিন্তু সেই সন্তানের পুষ্টির জোগান সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে ততটা সজাগ থাকিনা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকেই শিশুকে পুষ্টিকর খাদ্য দিতে হবে। যাতে করে পরবর্তী সময়ে সেই শিশু সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তিনি আরও বলেন, দৈনন্দিন জীবনে আমরা সকলেই কার্বোহাইড্রেট নিয়ে সজাগ থাকি কিন্তু সেইক্ষেত্রে আমাদের শরীর সঠিকভাবে ভিটামিন, প্রোটিন, আয়রন পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে ততটা সচেতন থাকি না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার আগে তাতে কতটা ভিটামিন, প্রোটিন রয়েছে তা জানা প্রয়োজন। এইক্ষেত্রে দোকানদার ক্রেতাকে ঠকানোর চেষ্টা করলে আমরা ভোক্তা আদালতের দ্বারস্থও হতে পারি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব জে কে সিনহা, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টর পার্থ দাস মহাপাত্র। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের অধিকর্তা রাধা দেববর্মা। ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন ডেপুটি ফুট সেফটি কমিশনার ডা. অনুরাধা মজুমদার। অনুষ্ঠানে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ও হেলদি রেসিপি প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সহ অতিথিগণ মেলা প্রাঙ্গণে প্রদর্শিত বিভিন্ন স্টলগুলি পরিদর্শন করেন।