BRAKING NEWS

ধর্মনগরে পোস্ট অফিস এজেন্টদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ এপ্রিল৷৷ শনিবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর চন্দ্রপুর সাব পোস্ট অফিসের উদ্যোগে অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য্য  ভবনে পোস্ট অফিসের এজেন্ট দের এক সভা হয়৷ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল সেভিংস এজেন্ট এসোশিয়েশননের সভাপতি পৃথিশ ভট্টাচার্য এবং কায়্যকরী কমিটির সদস্য ললিত তাতী৷ উদ্ভোধন করেন চন্দ্রপুর সাব পোস্ট অফিসের উপদেষ্টা মন্ডলীর চেয়ারম্যান দেবময় ভট্টাচার্য৷ উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল সেভিংস এজেন্ট এসোশিয়েশন ডিভিশন কমিটির সভাপতি মানিক লাল দাস এবং সম্পাদক শেখর চক্রবর্তী৷ ধর্মনগর ডিভিশনের নানা সমস্যা গুলি নিয়ে আলোচনা হয়৷ এজলাস কার্ড, ধর্মনগর, কাঞ্চন পুর, ঊনকোটি তে এজেন্টরা এজলাস কার্ড পাননি৷ অন্যদিকে ফটিক রায়, পেচারতল সহ বিভিন্ন সাব পোস্ট অফিসে কারেন্ট না থাকলে কাজ বন্ধ হয়ে থাকে, এই নিয়ে এজেন্টরা একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ গত জানুয়ারি মাসে পাবলিকের টাকা এনে পেচারতল পোস্ট অফিসে নূতন আর ডি বই খোলার জন্য জমা দিলেও, এখন পর্যন্ত ঐগুলি খুলেননি, সাব পোস্ট মাস্টার৷ তিনি প্রায়ই পাবলিককে বলেন  ভালো না লাগলো ব্যঙ্ক যান৷ বেশ কিছু পাবলিক ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ এই সভা থেকে সম্পাদক ঘোষণা করেন আগামী আগষ্ট মাসে ৭ তারিখ রবিবার তেলিয়ামুড়া ও কল্যাণপুর এজেন্টদের সহযোগিতায়  দ্বি বাষিক সাধারণ সভা তেলিয়ামুড়া তে অনুষ্ঠিত হবে৷ আগামী ১৬ণ্ড্র১৭ জুন কলকাতায় অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল সেভিংস এজেন্ট এসোসিয়েশনের জাতীয় সভা অনুষ্ঠিত হবে৷ সেখানে ধর্মনগর ডিভিশন থেকে অনেক এজেন্ট বন্ধু রা যোগদান করবেন৷ এই উদ্দেশ্যে  কিছু দিন আগে কাঞ্চনপুর ,দশদা, ও কায়্যকরী কমিটির সদস্য দের  নিয়ে কাঞ্চন পুর সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠান থেকে প্রতিনিধিরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন  সি, বি, এস চালুর পরে, বেশিরভাগ সাব অফিস সহ হেড অফিসেও সার্ভার থাকে না৷ এতে সমগ্র ডিভিশনে কাজ কর্ম ভেঙে পড়েছে৷ সাব অফিসগুলোর অবস্থা খুব খারাপ৷ সঠিক সময়ে কাজ না পেয়ে পাবলিক আর এজেন্টদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি শুরু হয়েছে৷ বিশেষ করে পেচারতলের পাবলিকরা যে কোন সময় পোস্ট অফিসে অঘটন ঘটাতে পারে৷ কল্যাণ পুর অফিসে একই অবস্থা৷ কিছু কিছু অফিসে কিছু সাব স্টাব নিয়োগ করা হয়েছে৷ এদের কেউ কেউ সাব পোস্ট মাস্টার কে ডিঙিয়ে কথা বলেন৷ ধর্মনগর রাজবাড়ী এস ও সাব স্টাফ সাধারণ পাবলিক থেকে শুরু করে সবার সাথেই বাজে ব্যবহার করছেন৷ অন্যদিকে কমলপুর এস পি এম না থাকায় ইনচার্জ তার ইচ্ছা মতো কাজ করে যাচ্ছেন৷ যে কোন সময় এই সব ঘটনার বিস্ফোরণ যে কোন সময় এস  পি অফিসে আছড়ে পড়তে পারে৷ কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে এদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *