করিমগঞ্জ (অসম), ৫ এপ্রিল (হি.স.) : করিমগঞ্জ সহ বরাকের তিন জেলায় নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুল যাদব (আইএএস) বলছেন, জেলায় স্ট্যাম্পের কোনও অভাব নেই। অথচ সরকার অনুমোদিত ভেন্ডারদের কাছে প্রয়োজন মতো স্টাম্প মিলছে না। তবে স্ট্যাম্পের নির্ধারিত মূল্যের চাইতে অধিক মূল্যেন দিলে অনায়াসে কালোবাজারে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প মিলছে।
করিমগঞ্জে অসাধু ভেন্ডাররা কালোবাজারে স্টাম্প বেশি দামে বিক্রি করছেন বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। একশো টাকার স্ট্যাম্প দেড়শো থেকে দুশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কার্য সম্পাদনের জন্য সাধারণ জনগণ বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দামে স্টাম্প ক্রয় করছেন। অভিযোগ জানানোর কোনও জায়গা নেই বলে ভুক্তভোগীরা আক্ষেপ প্রকাশ করছেন।
এদিকে খোদ জেলাশাসক বলছেন, স্ট্যাম্পের অভাব নেই। আর অন্যদিকে জেলা ট্রেজারি আধিকারিক বলছেন সাপ্লাই কম থাকায় স্ট্যাম্প বেশি করে ভেন্ডারদের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জেলাশাসক এবং ট্রেজারি আধিকারিকের কথায় কোনও মিল নেই। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমগ্র জেলাব্যাপী তীব্র ক্ষোভ ধুমায়িত হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান স্টাফ অ্যাক্ট (আসাম অ্যামেন্ডমেন্ট) ২০২১- এর পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের রীতিমতো মাথায় হাত উঠেছে। নতুন সংশোধিত আইন অনুসারে এখন থেকে ১৫ কিংবা ২০ টাকার নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্প দিয়ে আদালতে অ্যাফিডেভিট করা বেআইনি এবং এ ধরনের মূল্যের স্ট্যাম্পে অ্যাফিডেভিট করা হলে অ্যাফিডেভিটটি মূল্যহীন হয়ে পড়বে। রাজ্যপাল অধ্যাপক জগদীশ মুখি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গ্যাজেট নোটিফিকেশন জারি করে আসাম স্ট্যাম্প অ্যাক্ট সংশোধন করার কথা ঘোষণা করেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে নন জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পের মূল্যমান নির্ধারিত করে ব্যবহার করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে নোটিফিকেশন। যার ফলে অক্টোবর মাস থেকে আইনটি লাগু হয়েছে। এই নতুন সংশোধনী আইন শুধু অসমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।