CPIM : করোনা-বিধি লঙ্ঘন মামলায় আদালতে হাজিরা মানিক সরকার সহ সিপিএম নেতৃত্বের

আগরতলা, ৩১ মার্চ : করোণা বিধি অমান্য করা মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার সহ সিপিএম নেতৃবৃন্দ। এদিন আদালতে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মামলাটি ভিত্তিহীন দাবি করে প্রত্যেকের জামিনের আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার সহ অন্যান্য সকলকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। মামলাটির পরবর্তী শুনানি আগামী ২৯ এপ্রিল ধার্য্য হয়েছে। 


উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২৬ আগস্ট রাজধানী আগরতলা শহরের প্যারাডাইস চৌমুহনীতে সিপিএমের  সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় দুই সহস্রাধিক দলীয় কর্মী সমর্থক সামিল হয়েছিলেন। সরকারপক্ষ এই সভাকে করোনা বিধি লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলাটি বৃহস্পতিবার পুনরায় পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি হয়েছে। 


এদিন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, উপ দলনেতা বাদল চৌধুরী, সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য মানিক দে, পবিত্র কর সহ অন্যান্য নেতারা সশরীরে বৃহস্পতিবার পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেন। আদালত এদিন তাদের সবাইকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তি পেয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার দাবি করেন, এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। এই মামলা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে তিনি আখ্যায়িত করেন। পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এ ধরনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। 


তাঁর বক্তব্য, বিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করতে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সরকারপক্ষ তাদের ব্যর্থতা আড়াল করার লক্ষ্যেই জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য বিরোধীদলের নেতাদের এ ধরনের মামলায় অভিযুক্ত করে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে যে মামলা আদালতে গৃহীত হয়েছে সেই মামলা শেষ পর্যন্ত টিকবে না বলেও তিনি দাবি করেন। এভাবে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে বিরোধী কণ্ঠ রোধ করা সম্ভব হবে না বলেও তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। 


তাঁর কথায়, বিগত চার বছর ধরে রাজ্যে বর্তমান সরকার যেসব কার্যকলাপ সংগঠিত করে চলেছে মানুষ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। রাজ্যের জনগণ তাদেরকে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করেছেন।