NFR : “সেফটি ফার্স্ট” উদ্দেশ্য নিয়ে সুরক্ষিতভাবে ট্রেন চালানোর জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একাধিক পদক্ষেপ

মালিগাঁও, ৩১ মার্চ : সুরক্ষিত ভাবে ট্রেন চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম অংশ হলো রেল ট্র্যাককে ঠিক রাখা। অনবরত ট্রেন চলাচলের ফলে রেল ট্র্যাক ক্ষয় এবং নষ্ট হয়ে যায়। এমনটা হবেই। তাই ট্র্যাকের বিভিন্ন অংশকে অবধারিত ভাবেই মেরামতি ও বদলাতে হয়। সেই জন্যই রেল ট্র্যাককে সব সময় সব রকম ভাবে ঠিক রাখার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। রেল ট্র্যাকের উপর আবশ্যকীয় নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ট্র্যাক নবীকরণ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মাফিক বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছে। ট্রেন যাতে সুরক্ষিত ভাবে চলাচল করতে পারে, তার জন্য বেশ কিছু মানদণ্ড রক্ষা করা হয়। সেগুলোর মধ্যেই অন্যতম হলো স্লিপার, রেল, ও ট্র্যাকগুলির নবীকরণ করার পাশাপাশি ব্রিজগুলির হাল ফেরানো। পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে আজ এই সংবাদ দিয়েছেন।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি আর্থিক বছরে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪০৬.৮৬ সিটিআর ইউনিটের ট্র্যাক নবীকরণের কাজ হয়েছে। গত ২০২০-২১ আর্থিক বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৫৭.৩৪ মিটিআর-এর কাজ হয়েছিল। তার মানে গত বছরের তুলনায় এ বছর অনুপাতিক সময়ে ৫৮.১০ শতাংশ বেশি কাজ হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০৯.৬২ কিমি পথে রেল স্লিপার বদলে নতুন বসানো হয়েছে। যা ২০২০-২১ আর্থিক বছরের আনুমানিক সময়ের তুলনায় ৮৬.৫২ শতাংশ বেশি।


একই রকম ভাবে চলতি ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৯৭.২৪ কিমি পথের রেল নবীকরণ করা হয়েছে। গত বছর আনুমানিক সময়ে ১৯৮.৫৭ কিমি পথে এই কাজ সারা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এই বছর ৪৯.৬৯ শতাংশ বেশি কাজ করা সম্ভব হয়েছে। রেল ট্র্যাকের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখতে এবং রেলের ফ্র্যাকচার রোধ করতে রেল ট্র্যাকগুলির উপর অনবরত ইউএসএফডি (আলট্রাসনিক # ডিটেকশল) টেস্ট চালানো হয়। ট্র্যাকের রেল জয়েন্টগুলোকে বেশি করে সুরক্ষিত রাখার জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ফ্ল্যাশ বাট ওয়েল্ডিং (যা ওয়েল্ডিঙের আরও উৎকৃষ্ট পদ্ধভি) করার কাজ হাতে নিয়েছে।


উল্লেখ্য, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল নিজের আওতায় থাকা অঞ্চলে ট্রেন চলাচলকে আরও সুরক্ষিত ও মসৃণ করার জন্য ব্যালাস্ট স্ক্রিনিং, ট্র্যাক গ্লিসার বদলানো এবং ট্র্যাকের ট্যাম্পিং ইত্যাদি কাজে বিভিন্ন ধরনের ট্র্যাক মেশিন ব্যবহার করে। রেল ট্র্যাককে সুরক্ষিত রাখার কাজে আরও বেশি করে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে ট্রেন আরও সুরক্ষিত ভাবে চলাচল করছে, ট্রেনের গতি বেড়েছে এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও উন্নত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *