চাক্কা বন্ধে সচল গুয়াহাটি, কেন্দ্ৰীয় ট্ৰেড ইউনিয়ন মঞ্চ আহূত ধৰ্মঘটের মিশ্র প্রভাব

গুয়াহাটি, ২৮ মার্চ (হি.স.) : আসাম মোটর ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (এএমডব্লিউএ) আহূত ৪৮ ঘণ্টার চাক্কা বন্ধের বিশেষ প্রভাব পড়েনি রাজ্যে। রাজধানী গুয়াহাটিতে সরকারি-তো বটেই, বেসরকারি যানবাহন যথারীতি চলাচল করছে। সকালের দিকে রাজপথে বেসরকারি যানবাহন যেমন সিটিবাস, অটোরিকশা, বাণিজ্যিক কার (টেক্সি) খুব কম সংখ্যায় দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করে। তবে কেন্দ্ৰীয় ট্ৰেড ইউনিয়ন এবং কৰ্মচারী ফেডারেশন আহূত ভারত বনধ-এর মিশ্ৰ প্ৰভাব পড়েছে গুয়াহাটি মহানগর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোনও কোনও জায়গায় বনধ সমৰ্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ঠেলাধাক্কাও হয়েছে।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গাড়ি মালিক ও চালকদের ওপর ‘নিপীড়ন’ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে এ প্রতিবাদে বাণিজ্যিক যানবাহন কর্মচারী এবং মালিকরা আজ সোমবার ২৮ জানুয়ারি ভোর থেকে ৪৮ ঘণ্টার চাক্কা বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত শ্রমিক, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের ‘ক্ষতিসাধনজনিত নীতি’র প্রতিবাদে আজ ২৮ এবং আগামীকাল ২৯ তারিখ দেশব্যাপী দুদিনের ধর্মঘট আহ্বান করেছিল ট্রেড ইউনিয়নগুলির সম্মিলিত ফোরাম। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন ট্রেড ইউনিয়নগুলির সম্মিলিত ফোরাম আহূত ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে। ফলে অসমের প্রায় সব ব্যাঙ্ক আজ বন্ধ। এছাড়া কয়লা, ইস্পাত, তেল, টেলিযোগাযোগ, ডাক, তামা, বিমা, আর্থিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাও রাজ্যব্যাপী ধর্মঘটে যোগদান করেছেন। কেন্দ্ৰীয় ট্ৰেড ইউনিয়ন এবং কৰ্মচারী ফেডাশনগুলির যৌথ মঞ্চের দাবি, পেট্ৰোল-ডিজেলের মূল্য হ্রাস করা, শ্ৰমিকদের সরকারি সুবিধা প্ৰদান করা, সরকারের শ্ৰমিক-বিরোধী সহ অন্যান্য জনবিরোধী নীতিগুলি প্ৰত্যাহার করা, সরকার পরিচালিত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণ বন্ধ করা ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *