আগরতলা, ২ মার্চ (হি.স.) : অনলাইনে চিটফান্ড স্কিম চালানো এবং পেটিএম জালিয়াতির দায়ে বিহার এবং পঞ্জাব থেকে দুই প্রতারককে গ্রেফতারে সাফল্য কুড়িয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, বোধজংনগর থানায় ২০১৮ সালে ২০ ডিসেম্বর পেটিএম জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় পুলিশ ওই মামলা রুজু করেছিল। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর অবশেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় অভিযুক্ত বিজয় পণ্ডিতকে বিহারে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তাকে বোধজংনগর থানার পুলিশ ট্রানজিট রিমান্ডে আগরতলায় এনেছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পেটিএম জালিয়াতির মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতারে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক ছিলেন এসআই টিটন পাল এবং তদন্তের তদারকি করেছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার বেনজাম দেওয়ান।
অনুরূপ একটি অনলাইন জালিয়াতির মামলায় ত্রিপুরা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ পঞ্জাব থেকে প্রতারক মহিলাকে গ্রেফতার করে রাজ্যে এনেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর পূর্ব আগরতলা থানায় অনলাইন গেমের মাধ্যমে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অনলাইন গেমের আড়ালে মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক চিটফান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই সংস্থার ডিরেক্টর আঁচল ভারত থেকে দুবাই পালিয়ে যাওয়ার সময় অমৃতসর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়েন। ক্রাইম ব্রাঞ্চের লুক আউট নোটিশের ভিত্তিতে অমৃতসর পুলিশের গোয়ান্দা শাখা তাঁকে গ্রেফতার করেছে এবং ত্রিপুরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। গত ১ মার্চ ট্রানজিট রিমান্ডে ত্রিপুরা পুলিশ তাকে আগরতলায় এনেছে এবং পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার লকআপে রাখা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। অনলাইন গেমের আড়ালে চিটফান্ড জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার জয়ন্তকুমার রায় এবং তদন্তকার্যে তদারকি করেছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার অজয়কুমার দাস।