কলকাতা, ২১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ছাত্রনেতা আনিস খান রহস্যমৃত্যুর আসল কারণ কী, তা জানতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আরজি জানিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী। সোমবার সকালেই আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আবেদন করেন। বিচারপতি এদিনই বেলা ২টোর মধ্যে লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেছিলেন আইনজীবীকে। রাজ্য সরকারকেও তার কপি দিতে বলা হয়েছিল। সেইমতো মামলাকারী আবেদন জমা দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি। এদিকে, ঘটনার তদন্তে আমতায় ছাত্রনেতার বাড়িতে পৌঁছলেন ডিএসপি ডিএনটি সুব্রত ভৌমিক। নিহতের বাবা সালাম খানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মামলাকরীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, আনিসকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তাঁর বাবার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিসের উর্দি পরা লোকজন ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে আনিসকে। এখন মুখ্যমন্ত্রী নিহতের দাদাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলছেন।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ঘটনার পিছনে কী কারণ রয়েছে জানতে চান। জবাবে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন আনিস। উলুবেড়িয়া হাসপাতলের দুর্নীতি নিয়েও তিনি সরব ছিলেন। পুলিস তদন্তের নামে শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে যায়। পরে ছাদ থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার সকালে আনিসের বাড়িতে পৌঁছন ডিএসপি ডিএনটি। সঙ্গে ছিলেন আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। কথা বলেন নিহত ছাত্রনেতার বাবার সঙ্গে। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের সঙ্গে ফরেনসিক বা অন্যান্য রিপোর্টের মিল পাওয়া না গেলেও প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে।

