নয়াদিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): দিল্লির ২৪০টি সরকারি স্কুলে ১২,৪৩০টি নতুন স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধন করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির ছোট্ট শিশুদের শৈশবকে দুর্দান্ত করে তুলতেই ১২,৪৩০টি নতুন স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধন করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন নতুন স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধন করার পর কেজরিওয়াল বলেছেন, “প্রতিটি পড়ুয়া সর্বোত্তম শিক্ষা লাভ করুক, এটাই স্বপ্ন ছিল বাবা সাহেবের (বি আর আম্বেদকর)। দুর্ভাগ্যবশত স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও অন্যান্য রাজ্যে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাঁর স্বপ্ন অন্তত দিল্লিতে তো পূরণ হয়েছে, এ জন্য আমি ভীষণ খুশি।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
দিল্লি সরকারের খতিয়ান তুলে ধরে কেজরিওয়াল বলেছেন, “বিগত ৭ বছরে মোট ২০ হাজার ক্লাসরুম তৈরি করেছে দিল্লি সরকার। সমস্ত রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার মিলিয়েও এই সময়ের মধ্যে ২০ হাজার শ্রেণীকক্ষ তৈরি করতে পারেনি।” কেজরিওয়ালের কথায়, “নেতারা স্কুল ছাড়া আর কিছুকে ভয় পান না। ভালো স্কুল তৈরি হলে, নেতারা জাত-ধর্মের নামে ভোট পাবেন না। এই স্কুলগুলি প্রকৃত দেশপ্রেমিক তৈরি করবে। আমরা স্কুল বানাচ্ছি না, দেশপ্রেমিক তৈরির জন্য কারখানা তৈরি করছি।”
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কেজরিওয়াল বলেছেন, “গত কয়েকদিন ধরে দেশের অনেক বড় নেতা বলছেন কেজরিওয়াল একজন সন্ত্রাসী, এই কথা শুনে হাসি পায়। যে ব্যক্তি, যাঁকে তাঁরা সন্ত্রাসী বলছে, সে আজ ১২,৪৩০টি শ্রেণীকক্ষ দেশকে উৎসর্গ করল।” কেজরিওয়াল আরও বলেছেন, “দিল্লির সরকারি স্কুলে দরিদ্র ও বিচারকদের ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে, এক টেবিলে বসে পড়াশোনা করছে। বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং ভগৎ সিং-এর স্বপ্ন ৭৫ বছর পর পূরণ হচ্ছে এ জন্য আমি ভীষণ খুশি।”