নয়াদিল্লি, ৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরায় জনজাতি সম্প্রদায়ের নতুন আরেকটি উপ-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে। সংসদে এ-সংক্রান্ত বিল পেশ হয়েছে। ডার্লং সম্প্রদায় কুকি গোষ্ঠীর উপ-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। কেন্দ্রীয় জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা এ-সংক্রান্ত বিল সংসদে পেশ করেছেন।
ত্রিপুরায় বর্তমানে জনজাতি সম্প্রদায়ের ১৯টি জনগোষ্ঠীর বসবাস। তার অধীনে অবশ্য আরও উপ-গোষ্ঠী রয়েছে। ত্রিপুরী, রিয়াং, জমাতিয়া, নোয়াতিয়া, উচাই, চাকমা, মগ, লুসাই, কুকি, হালাম, মুণ্ডা, কৌর, ওরাং, সাঁওতাল, ভিল, ভুটিয়া, চাইমাল, গারো, খাসি এবং লেপচা, এই ১৯টি জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে ত্রিপুরায়।
নব্বইয়ের দশক থেকে ডার্লং সম্প্রদায়কে জনজাতি গোষ্ঠীর আলাদা স্বীকৃতির দাবি উঠছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় প্রায় ১১ হাজার ডার্লং সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। সময়ের সাথে তাঁদের উন্নয়ন প্রশংসার দাবি রাখে। ত্রিপুরা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক স্তরেও এই সম্প্রদায় থেকে প্রতিনিধি রয়েছেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে এই সম্প্রদায়ের।
এখন পর্যন্ত ডার্লং সম্প্রদায়ভুক্ত প্রত্যেকেই জনজাতি হিসেবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। আলাদা জনগোষ্ঠী হিসেবে তাঁদের স্বীকৃতি ছিল না। ত্রিপুরা সরকার সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ডার্লং সম্প্রদায়কে কুকি জনগোষ্ঠীর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। ওই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় সরকার সম্মতি জানিয়েছে এবং ত্রিপুরার জন্য ডার্লং সম্প্রদায়কে কুকি জনগোষ্ঠীর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করার বিলে সংসদে পেশ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা ডার্লং সম্প্রদায়কে কুকি জনগোষ্ঠীর অধীনে ছাল্য উপ-গোষ্ঠীর পরে অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধনী বিল পেশ করেছেন। সংবিধান সংশোধন করে ডার্লং সম্প্রদায়কে আলাদা স্বীকৃতি দেওয়া হবে ঠিকই, তবে তার জন্য এখনই অতিরিক্ত ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। কিন্তু জনজাতি কল্যাণমন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে, অনুমোদিত বাজেটের অধীনে যতটা সম্ভব সহায়তা করা হবে।