নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৬ ফেব্রুয়ারী৷৷ উপজাতি জনবসতি এলাকাগুলিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল থাকার দরুন কখনো রেশন কার্ড বন্ধকের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার ঘটনা রয়েছে এ রাজ্যে৷ তারমধ্যে এখন আবার ব্যাংকের এটিএম কার্ড বন্ধ নয় বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা৷ তাও আবার টাকার বিনিময়ে৷ এমনই এক অভিযোগ উঠে আসলো ত্রিপুরা রাজ্যের তেলিয়ামুড়া মহাকুমার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া থানাধীন তারাচান রুপিনি পাড়া থেকে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদে জানা যায়, একটি চক্র প্রত্যন্ত দুশকি এডিসি ভিলেজ এর অন্তর্গত তারা চান রুপিনি পাড়ায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে এটিএম কার্ড রয়েছে কিনা সেই তথ্য সংগ্রহ করে একাংশ স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় এই চক্রটি সক্রিয়৷ উল্লেখ্য, আজ থেকে প্রায় দু মাস আগে কে বা কাহারা রুপিনি পাড়ায় এলাকার যুবক তথা বিমন্ত রুপিনির কাছে তিন থেকে চার হাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয় একাংশ এটিএম কার্ড হোল্ডাররা বিশেষ করে আইসিআইসিআই ব্যাংকের এটিএম কার্ড হোল্ডারা তাদের ব্যক্তিগত এটিএম কার্ড সহ পাসওয়ার্ড সমেত বিক্রি করে দেয়৷ দীর্ঘ দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর আচমকা এটিএম কার্ড বিক্রি করা এক ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশি তলব যায়৷ পুলিশি তলব পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানায় ছুটে আসে এটিএম কার্ড বিক্রি করা উপেন্দ্র রুপিনি নামের আইসিআইসিআই ব্যাংকের এক এটিএম কার্ড হোল্ডার৷ এদিকে জানা যায় হায়দ্রাবাদের পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে তেলিয়ামুড়া থানার সহযোগিতায় উপেন্দ্র রুপিনিকে থানায় তলব করা হয়েছিল৷ যদিও তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চায় না৷ এক বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, উপেন্দ্র রুপিনির এটিএম কার্ডের ব্যাংক একাউন্টে ৮ লক্ষ টাকা ঢুকানো হয়েছে৷ এটিএম কার্ড বিক্রি করা উপেন্দ্র রুপিনির কাছ থেকে জানা যায় এক বছর ধরে আইসিআইসিআই ব্যাংকের সঙ্গে কোনো লেনদেন নেই উপেন্দ্রর৷এদিকে প্রশ্ণ উঠতে শুরু করে দিয়েছে, রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এটিএম কার্ড ক্রয় করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এটিএম কার্ড ক্রয় করার চক্রটি এবং কি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এই এটিএম কার্ড গুলিকে৷ এটাও প্রশ্ণ উঠতে শুরু করে দিয়েছে, যে এটিএম কার্ড গুলিকে প্রত্যন্ত এলাকা সহজ সরল মানুষদের টাকার প্রলোভন দিয়ে এটিএম কার্ড গুলি ক্রয় করে, এই এটিএম কার্ড গুলির মাধ্যমে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কোথাও কালো ধন লুকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে না তো ঐ চক্রটি৷ তবে পুলিশি তদন্ত ক্রমেই বেরিয়ে আসতে পারে আসল রহস্য, অভিমত একাংশ তথ্যবিজ্ঞ মহলের৷
2022-02-06