অনুমতি ছাড়া মিছিল-সভায় পুলিশের হস্তক্ষেপে হাতাহাতি, সিপিএমের চার নারী নেত্রীর জামিন মঞ্জুর

আগরতলা, ১৭ জানুয়ারি (হি. স.) : অনুমতি ছাড়াই নারী সমিতির মিছিল-সভায় পুলিশী হস্তক্ষেপে হাতাহাতির দায়ে মামলায় সিপিএমের চার নারী নেত্রী আজ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। ২০২১ সালের জুন মাসে কোভিড বিধি উল্লঙ্ঘন করে সিপিএমের নারী সমিতি আগরতলা শহরে মিছিল ও সভার আয়োজন করেছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ সাংসদ তথা সিপিএমের নারী নেত্রী ঝর্না দাস বৈদ্য সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। ওই মামলা আজ তাঁরা জামিন পেয়েছেন, জানালেন আইনজীবী ভাস্কর দেব্বর্মা। তাঁরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন, বলেন তিনি।


ভাস্কর বাবুর কথায়, আগরতলায় সিপিএমের নারী নেত্রী লিপিকা চৌধুরীকে পুলিশের নিগ্রহের ঘটনায় হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেছিল এবং সুয়োমুটো মামলায় পুলিশকে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তাই পুলিশ নিজের দোষ ঢাকতে তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল, বলেন তিনি।


তিনি বলেন, সিপিএমের চার নারী নেত্রী ঝর্ণা দাস বৈদ্য, ছায়া বল, কৃষ্ণা রক্ষিত এবং লিপিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ৩৫৩, ৩৩২, ৩২৩, ২৭০ এবং ৩৪ ধারায় পুলিশ মামলা রুজু করেছিল। আজ পশ্চিম জেলা মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে শুনানি শেষে চার জনের জামিন মঞ্জুর করেছে। তাঁরা প্রত্যেকে ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন, ভাস্কর বাবু বলেন।


সাথে তিনি যোগ করেন, ত্রিপুরায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে সকলকে দুরে সরিয়ে রাখার লক্ষ্যে এধরনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। কারণ, ত্রিপুরায় মহিলাদের উপর অপরাধ দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২০২০ সালের ১ জুন সিপিএম সমর্থিত সারা ভারত গণতান্ত্রিক নারী সমিতি আগরতলায় আন্দোলন সংগঠিত করেছিল। ওই আন্দোলনে সাংসদ তথা সিপিএম নেত্রী ঝর্না দাস বৈদ্য নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হতেই অনুমতি না নেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে হস্তক্ষেপ করেছিল। কিন্ত, ওই আন্দোলনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলে নারী সমিতি দাবি করেছে, বলেন তিনি।


ঝর্না দাস বৈদ্য বলেন, শাসক দল সারা ত্রিপুরায় বিজেপি প্রতিনিয়িত মিছিল-সভা সংগঠিত করছে। কিন্ত, বিরোধী নেতাদের শান্তিপুর্ন আন্দোলনেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নারী সমিতির শান্তিপুর্ন আন্দোলনে নারী নেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।