নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি (হি.স.) : ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফুর্নাস হ্রদে পাথরের একাংশ ধসে পড়ে নিহত পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে ১০-এ দাঁড়িয়েছে। পুলিশের উল্লেখ করে ব্রাসিলিয়া থেকে বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবারের ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, পাথরের চাঁই ধসে পড়ার সময় নৌকায় থাকা পর্যটকরা ভয়ে চিৎকার করছিলেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। এরপর ডুবুরিরা ও দেশটির নৌ বাহিনীর সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধারে অংশ নেন।
পুলিশ প্রধান মারকোস পিমেন্তা বলেন, শনিবারের এই দুর্ঘটনায় আরও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারেন। এ ঘটনায় ৩২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বেশিরভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল ছেড়েছেন। আর এখন পর্যন্ত একজন নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। ৬৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম হুলিও বোর্গেস। ব্রাজিলের সাও হোসে বারা এবং ক্যাপিতোলিও শহরের মধ্যবর্তী একটি জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ফুর্নাস হ্রদে ভাসতে থাকা পর্যটক বোঝাই কয়েকটি ছোট ডিঙ্গি নৌকার ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ছে বড় একটি পাথরের একাংশ। ১৮৫৮ সালে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ফুর্নাস হ্রদ খনন করা হয়েছিল। সাও পাওলো থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই হ্রদটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড়ের খাদগুলো আলগা হয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি ভারি বর্ষণের কারণে এই রাজ্যে সংঘটিত বন্যায় প্রায় ১৭ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।
গোয়াইস ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্বের অধ্যাপক জোয়ানা ফন্তেজ বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত এসব এলাকায় বর্ষাকালে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা। হৃদের কাছে যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখান থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে নৌকাগুলো ভিড়ানো উচিত ছিল। ১৮৫৮ সালে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ফুর্নাস হ্রদ খনন করা হয়েছিল। সাও পাওলো থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার উত্তরের এই হ্রদ পর্যটকদের পছন্দের স্থান। সেখানে প্রায় আট হাজার ৪০০ বাসিন্দা রয়েছেন। প্রতি সপ্তাহে প্রায় পাঁচ হাজার পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান। ছুটির দিনে এই সংখ্যাটা ৩০ হাজারেও পৌঁছায়।

