নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর৷৷ বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আমাদের দেশের বৈশিষ্ট্য যা পৃথিবীর মধ্যে ভারতবর্ষকে মহান করে তুলেছে৷ বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, খাদ্য, ভাষা, পরিধান, রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান ও সংস্ক’তির মিলনক্ষেত্র আমাদের বিশাল দেশ ভারতবর্ষ৷ আজ লঙ্কামুড়াস্থিত আলপনা গ্রামের সুুরেন্দ্রনাথ দেবনাথ ম’তি কমিউনিটি হলে উত্তর পূর্বা’ল সাংস্ক’তিক কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় সরকারের সাংস্ক’তিক মন্ত্রণালয় এবং রাজ্যের তথ্য ও সংস্ক’তি দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সীমান্তবর্তী অ’লের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে তথ্য ও সংস্ক’তি মন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন৷ তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নতুন চিন্তা ভাবনা নিয়ে আলপনা গ্রামকে আগামীদিনে শিল্প গ্রামে পরিণত করার জন্য এবং গ্রামের মহিলাদের মেধাকে পুঁজি করে তাদের শিল্প কলাকে তুলে ধরে আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার অগ্রণী ভূমিকা নেবে৷ তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত শিল্পীদের নৃত্য ও সংস্ক’তি জানতে হবে এবং নিজের সংস্ক’তিকে অন্য রাজ্যের সামনে তুলে ধরতে হবে৷ সরকারের মূল লক্ষ্যই হলো তথাকথিত গণ্ডি থেকে এবং পুরানো চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংস্ক’তির মেলবন্ধন গড়ে তোলা৷ সারা রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় ভারত কো জানো ও সীমান্তবর্তী অ’লের অনুষ্ঠান চলছে৷ এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে যাতে আরও উন্নয়নের ছোঁয়া ও গতি আনা যায় এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়েও উন্নয়ন করা যায় তারজন্য সরকার অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে৷
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজমদার বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে৷ যার উদ্দেশ্যই হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন জাতি ও সম্পদায়ের মধ্যে একতা ও জাতীয়তাবোধকে সামনে রেখে সাংস্ক’তিক সম্পর্ক তৈরি করে সাংস্ক’তিক রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান ও ভাষার আদান প্রদান ঘটানো৷ এই সাংস্ক’তিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সংস্ক’তিকে একই মালায় গেঁথে রাখাই হচ্ছে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মূল লক্ষ্য৷
বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস বলেন, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, ওড়িশা থেকে আগত শিল্পীদের সাংস্ক’তিক আদান প্রদানের মাধ্যমে শুধু সংহতিই সুুদৃঢ় হবে না আমাদের রাজ্যকে সাংস্ক’তিক দিক দিয়ে গৌরবান্বিত করবে৷ অনুষ্ঠানে মেয়র পারিষদ জগদীশ দাশ, কাউন্সিলার মিত্রারাণী দাস, কাউন্সিলার মিঠন দাস বৈষ্ণব ও উত্তর পূর্বা’ল সাংস্ক’তিক কেন্দ্রের সদস্য সুুবত চক্রবর্তীও বক্তব্য রাখেন৷ উক্ত অনুষ্ঠানে কাউন্সিলার ভাস্বতী দেববর্মা, সুুপর্ণা দেবনাথ সহ অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে আসাম, মণিপুর, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং ত্রিপুরার আলপনা গ্রামের শিল্পীগণ তাদের নিজ নিজ রাজ্যের সাংস্ক’তিক নৃত্যকলা পরিবেশন করেন৷