Burnt houses : পৃথক স্থানে আগ্ণিকান্ড, পুড়ল বসত ঘর, প্রচুর টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ বক্সনগর/বিলোনীয়া, ২৮ ডিসেম্বর৷৷ বামুটিয়া কাচারি টিলায় খড়ের স্তুপে আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্ণিদগ্দ হয়েছে দমকল কর্মী৷অগ্ণিদগ্দ দমকল কর্মীর নাম উত্তম নাথ৷ অগ্ণিদগ্দ দমকলকর্মী কে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় বামুটিয়া প্রাথমিক হাসপাতালে৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে নিউ ক্যাপিট্যাল কমপ্লেক্স ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্থানীয় সূত্র থেকে জানানো হয় বামুটিয়া এলাকার একটি খড়ের স্তুপে অগ্ণিকান্ডের ঘটনা ঘটে৷ স্থানীয় লোকজরা সঙ্গে সঙ্গে দমকল বাহিনীকে খবর দেন৷
দমকল বাহিনীর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে৷আগুন নেভাতে গিয়ে এক দমকলকর্মী অগ্ণিদগ্দ হন৷ অগ্ণিদগ্দ দমকল কর্মীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন স্থানীয় মানুষজন৷ তারা জানান দমকল বাহিনীর জওয়ানরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগানো বড় ধরনের অগ্ণিকান্ডের হাত থেকে এলাকাটি রক্ষা পেয়েছে৷
এদিকে, রহিম পুর পঞ্চায়েতের দুই নং ওর্য়াডের গৌরাঙ্গ গলা এলাকার বাসিন্দা মিজান মিয়া র বসত ঘর টি বিদ্ধংসী আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায় আজ দুপুর দুই ঘটিকার সময় রান্নাঘরেই গ্যাস সিলি ন্ডার ফেটে আগুন লেগেছে৷


অন্যান্য দিনের ন্যায় খাবার তৈরির সময়ই অঘটন টি সংঘটিত হয়েছে৷ গ্যাস সিলি ন্ডার ফাঁটার বিকট আওয়াজ শুনে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং ভয়ংকর আগুনের লেলিহান শিখা দেখে কেউ কনো জিনিস পএ বাচাতে পারেনি৷কেননা আগুনের ত্রীবতা ছিল খুব বেশী৷আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ই বিশাল গড় ও সোনামুড়া ফায়ার সার্ভিস অফিসে খবর দেওয়া হয়ে ছে৷আগুন লাগার সংবাদ শুনা মাএ দ্রুতগতিতে অগ্ণি নির্বপক গাড়ি এসে ও গঠনাস্থলে পৌঁছতে পারিনি একমাএ সরু রাস্থা এবং রাস্থার অবস্থা বেহাল ছিল বলে৷


ফায়ার সার্ভিস অফিসার ও কর্মকর্তাগন গাড়ি অনেকটাই দূরে রেখে পা হেঁটে মিজান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ ও বিস্থারিত তথ্য জানেন সঞ্জিত কুমার দাস৷ তিনি জানান বাড়ি র মালিকের বিশাল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে ছেন৷ প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা হবে৷ এমন কি জীবনের বহু মূল্য বান কাগজপত্রাদি ও পুড়ে ছাড় খাঁড়৷ ঘরের সমস্থ আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত৷বাড়ির মালিক মিজান মিয়ার কান্নাভেজা অশ্রু নয়নে রহিমপুরের আকাশ বাতাস ভারী হচ্ছে৷বিশালগড় ও সোনামুড়া ফায়ার সার্ভিস দুটোই এসেছে কিন্তু দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার দূর দূরান্ত থেকে এসে আগুন নেভাতে অসমভব৷ গোটা বক্সনগর এলাকার বাসীর দীর্ঘদিনের দাবী একটি ফায়ার সার্ভিস অফিস বসানোর জন্য৷বক্সনগর যদি ফায়ার সার্ভিসে র অফিস থাকতো তা হলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ই এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হতো৷বর্তমান সরকার যাতে অতি দ্রুতগতিতে একটি ফায়ার সার্ভিস বসিয়ে বক্সনগরের সমস্থ অফিস এবং সাধারণ মানুষের জীবন সম্পত্তি সুরক্ষা করে তার জন্য বিনম্র আবেদন৷
এদিকে, ভয়াবহ অগ্ণিকান্ডের হাত থেকে অল্পেতে রক্ষা পেল বসতবাড়ি৷৷ঘটনা মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক ৪ টা নাগাদ বিলোনিয়া ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের অন্তর্গত উত্তর ভারত চন্দ্র নগর রতন বাড়ি এলাকায়৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায় বাড়ির লোকের অনুপস্থিতিতে বাচ্চা মেয়ে খেলার ছলে খড়ের গাঁদায় আগুুন লেগে যায়৷
সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে তাদের যথেষ্ট সহযোগিতা এবং পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় বিলোনীয়া অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরে৷ উভয়ের সহযোগিতা আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে৷ এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন মেয়ের পিতা রাজেশ মজুমদার, এবং অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের কর্মী সকলেরই একই কথা এলাকার সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতায় রক্ষা পেল আজ উনার বসতঘরসহ সম্পত্তি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *