নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর৷৷ বন্য হাতি তাড়ানোর জন্য দুটি হাতি আনা হলেও এখন পর্যন্ত কোন সক্রিয় ভূমিকা না থাকায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে৷ জনগণের অভিমত হাতি তাড়াও নতুবা আমাদের তাড়াও! লাগাতর হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কগ্রস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের এমনতেই অভিমত ব্যক্ত করলেন৷হাতির তান্ডব এর ফলে গ্রামবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে এবং দিনের পর দিন বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিমটিম করে বেঁচে রয়েছে৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর এর অধীন বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়৷
সংবাদে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে যেমন খোয়াতে হয়েছে প্রাণ তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত পরিবার৷ ঘটনা সোমবার সন্ধ্যা রাত থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত৷ কথায় আছে বন্যরা বনে আর শিশুরা মাতৃকোলে৷ বন্য হাতি গভীর জঙ্গল থেকে প্রতিনিয়তই লোকালয়ে চলে আসাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে সাধারণ গ্রামবাসী৷
সোমবার সন্ধ্যা রাত থেকেই একদল বন্য দাঁতাল হাতি তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর এর অধীন কৃষ্ণপুর এলাকার একাধিক বাড়ি ঘরে ঢুকে উন্মুক্ত তাণ্ডব চালায়৷
কৃষ্ণপুর এলাকার এক ব্যক্তি সাফ জানিয়ে দেয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে বন্য দাতাল হাতিগুলিকে মেরে ফেলবে এলাকায় প্রবেশ করলে, যদি বনদপ্তর কোনো ভূমিকা গ্রহণ না করতে পারে৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় বন্য দাঁতাল হাতি রাতের অন্ধকারে উন্মুক্ত তাণ্ডব চালায়৷ ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ জন সর্বদা প্রাণের ভয়ে দিন গুজরান করছে৷ তাছাড়া প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ জনদের৷
সোমবারও এর কোন ব্যতিক্রম হয়নি সোমবার গভীর রাতে জনবসতিতে প্রবেশ করে একাধিক বাড়িঘরে উন্মুক্ত তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ির বসত ঘরগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়৷ হাতি তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত এডিএস ভলেন্টিয়ার সম্পূর্ণ ব্যর্থ বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডব রুখার ক্ষেত্রে৷ সোমবার রাতে কৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা নিতাই বিশ্বাসের বাড়িতে প্রবেশ করে উন্মুক্ত তাণ্ডব চালায় এবং একাধিক বসত ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়৷ নিতাইবাবু ক্ষুব্দ হয়ে সাফ জানিয়ে দেয় বনদপ্তর যদি কোনো ভূমিকা গ্রহণ না করতে পারে, তাহলে সাধারন জনগণের হাতে হাতির সমস্যা নিরসনের দায়িত্বটা দিয়ে দিক৷ উনি আরো জানায় প্রয়োজন পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে বন্য দাতাল হাতিগুলিকে মেরে ফেলবে এলাকায় প্রবেশ করলে৷ এদিনই উত্তর কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর, অফিস টিলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় উন্মুক্ত তান্ডব চালিয়েছে হাতি৷
কিন্তু সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহল জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ণ উড়ছে সাধারণ জনগণের এরকম কথা বলার পেছনে আসল কারণ কি, নাকি বনদপ্তর এর দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ফলে সাধারণ জনগণের ক্ষোভের এই বহিঃপ্রকাশ৷