নয়াদিল্লি, ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.): উন্নয়নের মডেল কেমন হবে, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, উন্নয়নের মডেল হতে হবে সর্বস্পর্শী ও সর্বজনীন। দেশের প্রতিটি অঞ্চল ও সমাজের প্রতি মানুষকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। শনিবার সকালে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত সুশাসন দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “সুশাসন সপ্তাহ উদযাপনের জন্য ২৫ ডিসেম্বর আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। এই দিনের সঙ্গে এমন দুই ব্যক্তিত্বের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, যারা দেশের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার জন্য এবং দেশকে একটি নতুন দিশা দেখানোর জন্য নিজেদের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যজি স্বাধীনতার আগে এই দেশের গৌরবময় ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার কাজ করেছিলেন…আধুনিক ভারতে সুশাসন শব্দটি যিনি সঠিক অর্থে গেঁথে দেওয়ার কাজটি করেছিলেন, আমাদের অটলজিরও আজ জন্মদিন। অটলজি নিজের গোটা জীবন একটি বিচারাধারার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেছেন, “সুশাসন সপ্তাহ উদযাপনের যে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়েছিলেন ও আজাদির অমৃত মহোৎসবে করেছেন, এর ফলে সুশাসনের ধারণা দিল্লির বাইরে, রাজ্যগুলির রাজধানীর থেকে প্রসারিত হয়ে গ্রামে পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। জনগণের সুশাসনের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত যে উন্নয়নের মডেল হতে হবে সর্বস্পর্শী, সর্বজনীন।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চল ও সমাজের প্রতি মানুষকে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসাই সুশাসনের লক্ষ্য।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আমাদের সরকারের ৭ বছরের কার্যকালে কৃষির উন্নয়ন হয়েছে, শিল্পের বিকাশ হয়েছে, গ্রামেও উন্নয়ন হয়েছে, শহরেও উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের সীমানা সুরক্ষিত করা হয়েছে এবং সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক তৈরি করেছি। ২০১৪ সালের আগে এই দেশে ৬০ কোটি এমন নাগরিক ছিলেন যাদের পরিবারের একটিও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না, তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না, কারও বাড়ি ছিল না। ১০ কোটির বেশি পরিবার ছিল যাদের শৌচাগার ছিল না। ঘরে কারও অসুখ হলে অসহায় মানুষ শুধু ভগবানের প্রার্থনা করতেন। ক্যানসার, হৃদরোগ ও প্যারালাইসিসের মতো রোগ হলে নিজেকে অসহায় মনে করতেন, স্বাধীনতার কোনও মানেই ছিল না।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, নরেন্দ্র মোদী সরকার ২ কোটিরও বেশি মানুষকে নিজস্ব ঘর দিয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ এবং শৌচালয় দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।”

