নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর৷৷ ধর্মনগর পুরপরিষদের নবনির্বাচিত কাউন্সিলারদের কাজের মধ্যদিয়ে জনগনের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে হবে৷ নিজ নিজ এলাকায় নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিও তৈরি করতে হবে৷ এই স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই মানুষ আজীবন মনে রাখে৷ আজ ধর্মনগর পুরপরিষদের নবনির্বাচিত কাউন্সিলারগণ সচিবালয়ের ২নং কনফারেন্স হলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মিলিত হলে এই অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
সাক্ষাৎকারের সময় ধর্মনগর পুর পরিষদের নবনির্বাচিত কাউন্সিলারগণ মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেবের হাতে পুস্পস্তবক, উত্তরীয় সহ মারক উপহার তুলে দেন৷ ধর্মনগর পুর পরিষদের নবনির্বাচিত কাউন্সিলারদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্মনগর এলাকার সর্বাঙ্গীন বিকাশ এবং নাগরিকদের উন্নত পরিষেবা প্রদানে কাউন্সিলারদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে৷শহরের পরিকাঠামো, সাংস্ক’তিক ও সামাজিক বিকাশকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে৷ কাউন্সিলারদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের সমস্যার যথার্থ সম্মান জানিয়ে আন্তরিকতার সাথে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে৷ সমস্ত সংর্কীনতার উর্দ্ধে ওঠে সমাজের সকলস্তরের নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, মানুষের সাথে কাউন্সিলারদের আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে৷ পাশাপাশি কাউন্সিলারদের এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে সুুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন৷ আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নবনির্বাচিত কাউন্সিলারদের পুর পরিষদ এলাকায় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের রূপায়িত জনকল্যানমূখি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবগত হয়ে দ্রত তার সুুফল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে৷ তিনি বলেন, শুরু থেকেই মানুষের কল্যানে কাজ করে নিজ পরিচিতি তৈরি করতে হবে৷ কাউন্সিলারদের নিয়মিত তাদের কাজের পর্যালোচনা করার উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷
সাক্ষাৎকারকালে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা স্বশক্তিকরনের কথা উল্লেখ করে, ২৫ বছরের উর্দ্ধ মহিলাদের স্বাভাবিক কাজকর্মের পাশাপাশি স্বরোজগারী করে তোলার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷ পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের চিহ্ণিত করে তাদের তৈরীক’ত বিভিন্ন উপাদানে মূল্য সংযোজন করে বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও কাউন্সিলারগণদের বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার জন্যও তিনি জোর দেন৷ আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী দেশের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেন, বহু বছর পর দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে রিফর্মস আনার উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেত’ত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই নতুন শিক্ষানীতিতে প’ম শ্রেণী পর্যন্ত মাত’ভাষায় শিক্ষাদানের সংস্থান রয়েছে যা শিক্ষাক্ষেত্রের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ৷ এদিন সাক্ষাৎকারের সময় বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধ সেনও উপস্থিত ছিলেন৷

