নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ডিসেম্বর৷৷ লাইট হাউস আবাসন প্রকল্পের অন্তর্গত ৬ রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরায় প্রথমবারের মতো মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ভূমিকম্প প্রতিরোধক ১ হাজার আবাসন৷ অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক অনগ্রসর বিভিন্ন পরিবার এই আবাসনের সুুযোগ পাবে৷ আজ এই প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট সংলগ গোলচক্কর এলাকায় নির্মিত হচ্ছে এই আবাসনগুলি৷ ৫.৩৯ একর জায়গায় ৭টি ব্লকে বিভক্ত হয়ে নির্মিত হবে এই আবাসনগুলি৷ প্রতিটি ব্লক জি প্লাস সি’ প্রকরণ অনুসারে তৈরি হচ্ছে৷ নির্মীয়মান প্রতিটি আবাসনের আয়তন হবে ৩২০ স্কোয়ার ফিট৷
পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজের অন্তিম ব্যক্তিও কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আর্থসামাজিক মনোন্নয়নের সুুফল পাচ্ছেন৷ তারই অঙ্গ হিসেবে লাইট হাউস প্রকল্পের অন্তর্গত অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলক অনগ্রসর পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা প্রদানের লক্ষ্যে এই আবাসনগুলি নির্মিত হচ্ছে৷ সরকারি ভর্তকির সুুযোগ পাবেন এই আবাসন গ্রহীতারা৷ শুধুমাত্র অবশিষ্ট অর্থরাশি সুুবিধাভোগীদের বহন করতে হবে৷ প্রথমবারের মতো এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে রাজ্যে৷ পূর্ত, নগরোন্নয়ন সহ নির্মাণমূলক কর্মসূচির সাথে যুক্ত ব্যক্তি এবং ছাত্রছাত্রীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মীয়মান এই আবাসন থেকে অভি’তা স’য়ের আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, আগামীদিনে যথার্থ নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে রাজ্যে আবাসন সহ অন্যান্য নির্মাণের ক্ষেত্রে এই অভি’তা সহায়ক ভূমিকা নেবে৷ এদিন প্রকল্পস্থলের বিভিন্ন নির্মীয়মান কাজ এবং বিভাগ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নির্মাণ সংস্থার পক্ষে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকগণ মুখ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন৷ যত দ্রত সম্ভব আবাসন নির্মাণের কাজ শেষ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন৷ তারা জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে গ্রাহকদের সুুবিধার্থে একটি আবাসন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ অধিকাংশ পাইলিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গেছে৷ দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা সম্পন্ন এই আবাসনগুলি ভূমিকম্প প্রতিরোধক হওয়ার পাশাপাশি বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ার ফলে তুলনামূলক কম সময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব, সচিব কিরণ গিত্যে, সচিব পি কে গোয়েল, আগরতলা মার্টসিটি লিমিটেডের এমডি ডা. শৈলেশ কুমার যাদব, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন প্রমুখ৷
এরপর আখাউড়াস্থিত ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন৷ তারপর ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের কনফারেন্স হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন৷ সেখানে বিভিন্ন পরিষেবা ও কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেন৷ এদিন স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব, সচিব কিরণ গিত্যে, সচিব পি কে গোয়েল, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, ল্যাণ্ডপোর্ট ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী প্রমুখ৷