গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পলাতক

আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর : মন্দির নগরী উদয়পুরের বনদুয়ার এলাকায় এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃতার নাম নমিতা দাস। স্বামীর নাম ঘনা দাস।
জানা গেছে, সাত বছর আগে সামাজিক রীতি মেনে নমিতা দাস ও ধনা দাসের বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে নমিতা দাসের বাপের বাড়ির তরফে পাত্র পক্ষের দাবি অনুযায়ী জিনিসপত্র মিটিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পরিবারে ঝামেলা চলছিল। এর শেষ পরিণতিতে গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে‌।
অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও তাকে শেষ রক্ষা করা যায়নি। জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর নমিতা দাসের মৃত্যু হয়েছে।
গৃহবধূর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই তার বাপের বাড়ি লোকজনরা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন। এদিকে গৃহবধূর স্বামী ধনা দাস ও তার শশুর শাশুড়ী সহ অন্যান্যরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। এব্যাপারে মৃতার বাপের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই।
পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তদের আটক করার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে তারা প্রত্যেকে পলাতক। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ক্রমে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে স্থানীয় জনগণের তরফ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে অগ্নিদগ্ধ মৃত গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জিবি হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।