করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশী নাগরিকের জাল সার্টিফিকেট নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা, চিহ্নিত হতেই ফেরত পাঠাল প্রশাসন

আগরতলা, ২৩ ডিসেম্বর (হি. স.) : করোনা সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও জাল রিপোর্ট নিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে আটক হলেন জনৈক বাংলাদেশী নাগরিক। তাঁকে পুণরায় বাংলাদেশ ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে, তাঁর সাথে আরও চারজন বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন। তাঁদের রিপোর্ট সঠিক থাকায় তাঁরা ভারতে প্রবেশে অনুমতি পেয়েছেন। কিন্ত, করোনা সংক্রমিতের সাথে যাত্রা করায় তাঁদের একান্তবাসে পাঠানো উচিত ছিল, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ঠিকই। কিন্ত, এখনো সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধ হয়নি। এরই মধ্যে করোনা আক্রান্তের দায়িত্বহীনতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আজ জনৈক বাংলাদেশী নাগরিক করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্ত, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে প্রবেশের পূর্বেই তাঁর ওই রিপোর্ট স্ক্যান করা হলে তাতে ধরা পড়েছে ওই রিপোর্ট জাল। কারণ, রিপোর্টটি স্ক্যান করতেই উঠে আসে ওই করোনা সংক্রমিত। অথচ, তাঁর সাথে থাকা রিপোর্টে তিনি করোনা নেগেটিভ উল্লেখ রয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির পরিচয় এবং করোনা সংক্রমিতের রিপোর্টের তথ্যের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। এরপরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করেন রিপোর্টে নেগেটিভ লেখে প্রিন্ট করে এনেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর করেন চেকপোস্টের কর্মীরা। এ-বিষয়ে পশ্চিম জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সংগীতা চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশী নাগরিকের করোনা টেস্টের জাল সার্টিফিকেট আজ আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে সনাক্ত হয়েছে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদিকে, ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
এদিকে, ওই ব্যক্তির সাথে চারজন বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন। তাঁদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। তাই, তাঁদের ভারতে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্ত, করোনা সংক্রমিতের সাথে একসাথে যাত্রা করায় ওই চারজনকেও ১৪ দিনের জন্য একান্তবাসে পাঠানো উচিত ছিল বলে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাছাড়া, জাল সার্টিফিকেট নিয়ে আসা ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলেও জোর চর্চা হচ্ছে। সমালোচকদের একাংশের বক্তব্য, ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *