আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় ভারত-বাংলা পর্যটন উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি উজ্জয়ন্ত রাজপ্রাসাদ প্রাঙ্গণে পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে ভারত বাংলা পর্যটন উৎসব ২০২২। মূলত, দুই দেশের পর্যটনে বিকাশ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ওই উত্সবের আয়োজন করা হচ্ছে বলেই দাবি।
এই উপলক্ষে আজ রাজ্য অতিথিশালার মিলনায়তনে পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার, পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক, পর্যটন নিগমের অধিকর্তা সহ ট্যুর অপারেটর, হোটেল মালিক ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকবৃন্দ। তিনদিনব্যাপী এই মিলন উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন এপার বাংলা ওপার বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, ট্যুর অপারেটর ও হোটেল মালিক এবং কলকাতা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ট্যুর অপারেটরগণ।
এই পর্যটন উৎসব উপলক্ষে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বয়ক্ত প্রাসাদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পী সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাছাড়া ওইদিন রাজবাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে ট্র্যাডিশনাল ফুড ফেস্টিভেল। ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত পর্যটনস্থল সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হবে। ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে আগরতলায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হবে। তাতে অংশ নেবেন এপার বাংলা ওপার বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, ট্যুর অপারেটর ও হোটেল মালিক এবং কলকাতা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ট্যুর অপারেটরগণ। দুপুরে রাজ্য অতিথিশালায় অনুষ্ঠিত হবে ব্যবসায়িক ও মতবিনিময় সভা।
আজ বৈঠকে উপস্থিত অতিথিগণ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, প্রতিবেশি দুই ভূখণ্ডের মানুষের ভাষা সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাস যেহেতু একই সূত্রে গাঁথা তাই এই উদ্যোগের ফলের দুদেশের পর্যটন সম্ভাবনা আরও ত্বরান্বিত হবে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।