নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ নভেম্বর৷৷ বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক সহ পরিকাঠামো সমস্যা সমাধানের দাবিতে পথ অবরোধ করল বাইজালবাড়ি দ্বাদশ শ্রেণীর বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা৷ খোয়াইয়ের বাইজালবারি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত৷ বিদ্যালয় পর্যাপ্তসংখ্যক শিক্ষক এবং অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়ন এর জন্য ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে৷ কিন্তু তাতে ইতিবাচক কোনো সাড়া মিলছে না৷ শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে সোমবার পুনরায় পথ অবরোধের শামিল হল ছাত্রছাত্রীরা৷
বিদ্যালয় পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে৷বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিষয় শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষে বসার পর্যাপ্ত ব্রেঞ্চ না থাকায় তাতে শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ তাছাড়াও বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নেই বললেই চলে৷ শৌচাগারের অভাব সহ নানা সমস্যা নিয়ে পড়ুয়ারা গত সোমবার খোয়াই–মোহনপুর–আগরতলা সড়কে অবরোধে বসে ছিল৷ পদ্মবিল ব্লকের বিডিও বেইসিয়া ডারলং অবরোধ স্থলে ছুটে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আশ্বাস দেন এই বিষয় নিয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যা সমাধান হবে৷ কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি৷ফলে সমস্যা সমাধান না হওয়ায় পড়ুয়ারা ফের সোমবার দুপুরে খোয়াই আগরতলা সড়ক অবরোধে বসে বাইজালবারি ফাঁড়ির সামনে৷ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পর খবর পেয়ে ছুটে যান অবরোধ স্থলে খোয়াই জেলা শিক্ষা আধিকারিকরা সমরেন্দ্র নাথ দাস৷ ছাত্র-ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন দু-একদিনের মধ্যেই তাদের সকল সমস্যার সমাধান হবে৷ সুনির্দিষ্ট আশ্বাস পেয়ে অবশেষপরবর্তী সময় অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্র-ছাত্রীরা৷
এদিকে, রাজ্য সরকার রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা গুলোতে শিক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করলেও কার্যত এই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না৷ ফলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পড়ুয়ারা৷ আর্থিকভাবে দুর্বল৷ তাই সুকলপড়ুয়া ছেলে মেয়ের সুকলের পোশাক টুকু কিনে নিতে পারেনি৷ ফলে সুকল পোশাক ছাড়াই প্রতিনিয়ত সুকলে আসা-যাওয়া করছে ছাত্রছাত্রীরা৷ এমন কি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী বিদ্যালয় পরিদর্শকের অন্তর্গত কৃষ্ণমণি চৌধুরীর রিয়াং পাড়া নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়টি৷ এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা নেহাত কম নয়৷ কিন্তু এই বিদ্যালয়টিতে রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা৷ বিদ্যালয়ের গরিব কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা -শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়মুখী হয়৷ কিন্তু সেখানে এসে বিশুদ্ধ পানীয় জল তাদের কপালে জোটে না৷
অসহায় কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা ছড়া কিংবা নালা সহ পাথর চোষা অপরিশোধিত জল পান করেই নিজেদের তৃষ্ণা নিবারণ করে আসছে৷ তাছাড়া এই নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়টিতে ছাত্র- ছাত্রীদের জন্য পোশাক তৈরির টাকা প্রদান না করায় ছাত্র-ছাত্রীরা সুকল পোশাক ছাড়াই প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়মুখী হতে বাধ্য হচ্ছে৷ ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন করতে এসে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে৷ অভিযোগ সুকলের শৌচালয় এর ব্যবস্থা না থাকায় প্রাকৃতিক কাজকর্ম করতে হচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে৷বারবার সুকলে বিভিন্ন সমস্যার কথা বিদ্যালয় পরিদর্শক এর কাছে জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই না হওয়াতে সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে৷ এখন দেখার বিষয় ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ সুকলের দুরবস্থা দূরীকরণে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন৷

