নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২৮ নভেম্বর৷৷ ফের অসম ত্রিপুরা সীমান্তে অসম পুলিশের হাতে আটক দু’’জন বাংলাদেশী নাগরিক৷শনিবার রাতে অসমের করিমগঞ্জ জেলার অসম ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোষ্টের সম্মুখে নাকা চেকিং চলাকালে মাসুম বিল্লা(১৮) ও শেখ বাপ্পি (৩৩) নামে দুজন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা৷ এ মর্মে ইনচার্জ মিন্টু শীল জানান, তাদের ওয়াচ পোষ্ট সম্মুখে আট নং জাতীয় সড়কের উপর প্রতিদিনের ন্যায় শনিবারেও যথারীতি পুলিশি চেকিং অব্যাহত ছিল৷ এমতাবস্তায় ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলা থেকে গুয়াহাটি অভিমুখে যাওয়া এস-০১-এইচসি-৬২৬৯ নম্বরের নৈশ বাস চেক গেইট সম্মুখে পৌছালে পুলিশ কর্মীরা চেক করেন৷ তখন উক্ত বাসে থাকা দুজন ব্যক্তি পুলিশের প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি৷
এতে পুলিশের সন্দেহ জাগে এবং তাদের পুনরায় জিঞ্জাসা করলে উভয় যাত্রী বাংলাদেশ থেকে আসার কথা অকপটে স্বীকার করে৷ এবং তারা জানায় তারা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা৷ধৃতরা আরও বলে,আখাউড়া সীমান্ত টপকে ভারত সীমান্তে প্রবেশ করে আগরতলা আসে৷ সেখান থেকে শেরওয়ালী নামক নৈশ্য বাস ধরে গুয়াহাটি যাবার জন্য যাত্রা করে৷তাদের গন্তব্য সুদুর পশ্চিমবঙ্গ ছিল বলে জানায় ধৃতরা৷ যদিও তাদের গন্তব্যে পৌছার পূর্বে অসম পুলিশ তাদের আটক করে৷ রবিবার ধৃতদের করিমগঞ্জ জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়৷উল্লেখ্য ধৃত দুজনের মধ্যে শেখ বাপ্পি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ছিল৷ বিগত সময়ে সে মাসুম বিল্লাকে আনতে বাংলাদেশ পাড়ি দেয়৷ সেখানে সতেরোদিন থেকে পুনরায় মাসুমকে নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে৷ এদিকে ঘন ঘন বাংলাদেশী নাগরিক আটকে শঙ্খিত উভয় রাজ্যের সচেতন নাগরিক৷মানুষ সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ণ তুলেছেন৷ সম্প্রতি দুটি ঘটনায় অবাদে সীমান্ত পারাপারের বিষয়টি সম্মুখে আসায় এর মুলে কোনো চক্র সক্রিয় রয়েছে কি না এমন সন্দেহ প্রকট হচ্ছে সাধারণের মনে৷ তবে এ নিয়ে বিশেষ তদন্তের দাবি উত্থাপন করেছেন উভয় সীমান্তের স্থানীয়রা৷