Crime is on the rise in Kailashahar : কৈলাসহরে বাড়ছে অপরাধ, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ নভেম্বর৷৷ ঊনকোটি জেলার সংসৃকতির পীঠস্থান কৈলাশহরে অশান্তির পরিবেশ কায়েম করার জন্য ক্রমাগত চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ পুলিশ সবকিছু জেনে শুনেও এসব দুষৃকতিকারীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ গত ঊনত্রিশ অক্টোবর বিকেলে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কৈলাসহর নগর শাখার সম্পাদক শিবাজি সেনগুপ্তকে কৈলাসহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সামনেই কৈলাসহর থানার গেইটের সামনে দুষৃকতীরা মারধর করে৷ আক্রান্ত হবার পর ত্রিশ অক্টোবর রাস্তা অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে ওসি পার্থ মুন্ডাকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷


সেকুলার ফ্রন্টের পক্ষ থেকেও কৈলাসহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ণ তোলেন এবং ওসি পার্থ মুন্ডার তীব্র সমালোচনা করেন৷ কৈলাসহরের কুবঝার এলাকায় অবস্থিত কুবঝার যুব সংঘ ক্লাবে সেকুলার ফ্রন্টের কৈলাসহর শাখার পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়৷ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেকুলার ফ্রন্টের কৈলাসহর শাখার বরিস্ট কর্মকর্তা আইনজীবী কামাল মোসদ্দর, চিকিৎসক সুইফুল ইসলাম, সমাজসেবী মসকু মিঞা সহ সমাজের আরও বিশিষ্ট ব্যাক্তিরা৷ সাংবাদিক সম্মেলনে আইনজীবী কামাল মসদ্দর গত ঊনত্রিশ অক্টোবরের ঘটনায় কৈলাসহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ইদানীং কালে কৈলাসহরে যেসব নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে এর একটি ঘটনারও আসামী অর্থাৎ মূল মাস্টার মাইন্ডকে আজ অব্দি গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ অথচ, ওসি পার্থ মুন্ডা এখনও অব্দি বহাল তবিয়তেই রয়েছেন৷এমনকি আরাক্ষা দপ্তরও ওসির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কার্যকরী ভুমিকা নিচ্ছে না৷


আইনজীবী কামাল মসদ্দর তথ্য দিয়ে বলেন যে, গত অক্টোবর মাসে কৈলাসহর শহরে অবস্থিত মসজিদে রাতের অন্ধকারে বিশ্ব হিন্দু পরিসদের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ কৈলাসহরের হকারস কর্নার রোডে অবস্থিত বিশিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে প্রথমে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ফ্ল্যাগ লাগানোর কিছু দিন পর ফের আব্দুল মান্নানের বাড়ির কাঁচের গ্লাস রাতের অন্ধকারে ভেংগে দেওয়া হয়েছিল৷ কৈলাসহরের প্রবীন সাংবাদিক প্রয়াত মুক্তাধীর চৌধুরীর বাড়িতেও রাতের অন্ধকারে ভাংচুর করা হয়েছিল৷ কৈলাসহর থানার একেবারেই পাশে অবস্থিত প্রয়াত লাবলু মিঞার ছেলের বেকারির দোকান ভাংচুর করা হয়েছিল৷ এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করেনি৷ শুধু তাই নয়, আইনজীবী কামাল মসদ্দর আরও বলেন যে, কৈলাসহরের বালিছড়ায় অবস্থিত মহাদেব মন্দিরের মহাদেব মূর্তির মাথা ভাংগা হয়েছে৷ এই ঘটনার সাথে জড়িতদেরও আজ অব্দি পুলিশ গ্রেফতার করেনি৷ এছাড়াও উনি গোটা ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আরও যেসব ঘটনা ঘটেছে সেইসব ঘটনারও উল্লেখ করেন৷ কৈলাসহরে এতসব ঘটনার পর গত ঊনত্রিশ অক্টোবর কৈলাসহর থানার সামনে অবস্থিত আর.কে.আই সুকলের ভিতরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ -এর নেতৃত্ব সুকলের বাইরে থানার সম্মুখে এমনকি থানার ওসি পার্থ মুন্ডা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীর সামনে রক্তাক্ত হয় শিবাজি সেনগুপ্ত৷ সেকুলার ফ্রন্ট কৈলাসহর শাখা আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সেকুলার ফ্রন্টের অন্যান্য কার্যকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঊনত্রিশ অক্টোবর আর.কে.আই সুকলের ভিতরে আহত দুই ছাত্রও৷ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকাশ্যেই আহত দুই ছাত্র বলেন যে, সুকলের ভিতরে শিবাজি সেনগুপ্তই প্রথম এই দুই ছাত্রকে মারধোর করেছিল৷ কামাল মসদ্দর এও বলেন যে, সুকলের বাইরে শিবাজি সেনগুপ্তই প্রথম নজমুল আলীকে ধাক্কা দেয় এবং এই ধাক্কার জেরেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়৷ কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, গুরুতর জখম হবার পর কৈলাসহরের ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শিবাজি সেনগুপ্ত যেমন নিজের মুখেই প্রকাশ্যই বলেছিলেন কৈলাসহর থানার ওসি পার্থ মুন্ডা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীর সামনে এই ঘটনা হয়েছিল৷ ঠিক তেমনি সেকুলার ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনেও সেকুলার ফ্রন্টের কর্মকর্তারা বলেন যে, থানার ওসি পার্থ মুন্ডা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সামনেই এই ঘটনা হয়েছে এবং সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত আহত দুই ছাত্রও একই কথা বলেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *