নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ নভেম্বর৷৷ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কৈলাশহর নগর বিভাগের সম্পাদক শিবাজী সেনগুপ্তের ওপর আর আর কে আই সুকলে প্রাণঘাতী হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আগরতলায় রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷
কৈলা শহরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর নগর শাখার সম্পাদক শিবাজী সেনগুপ্তর উপর প্রাণঘাতী হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আগরতলায় রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷কৈলাসহরের আরকেআই সুকলে সদস্যপদ সংগ্রহকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সংগঠিত হিংসাত্মক ঘটনার জেরে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ ঊর্ধগামী হচ্ছে৷ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর কর্মীরা আর কে আই সুকলে সদস্যপদের সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা সংগঠিত করা হয়৷ আক্রান্তরা থানায় এফআইআর করতে যাওয়ার পথে রাস্তায় তাদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়৷ তাতে গুরুতরভাবে আহত হন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর কৈলাশহর নগর বিভাগের সম্পাদক শিবাজী সেনগুপ্ত৷ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
সেখান থেকে রাতে তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷ জিবি হাসপাতালে শনিবার তার অস্ত্রোপচার হয়৷ বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিবাজী সেনগুপ্ত৷এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর সদস্যদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আগরতলায় রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অশ্লীল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে বাধ্য হবেন৷ তারা অভিযোগ করেন পরিকল্পিতভাবে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কৈলাশহর নগর শাখার সম্পাদক শিবাজী সেনগুপ্তর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়৷
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন৷এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ নেতৃবৃন্দ৷ তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত হবে৷ তাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পুলিশকেই দায়ী থাকতে হবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷

