নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৩১ অক্টোবর৷৷ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট এর ফলে শনিবার রাতের বিধবংসী আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই মোট ৭টি দোকান ঘর৷ এর মধ্যে ৪টি দোকান আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন কালিটিলা ব্লক চৌমুহনী এলাকায়৷
জানা যায়, তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার কালিটিলা ব্লকচৌমুহনী স্থিত অপু মালাকার, স্বপন মালাকার, দিলীপ দেব রায়ের মোট ৩টি দোকান ভয়াবহ অগ্ণিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়৷ যদিও অপর চারটি দোকান আংশিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এলাকাবাসী সহ প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাথমিকভাবে অনুমান বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে এই ভয়াবহ অগ্ণিকাণ্ড৷
জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো নিজেদের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্লক চৌমুহনী এলাকায় ব্যাবসায়ীরা যে যার মতো করে বাড়ি চলে যায়৷ কিন্তু শনিবার শেষ রাতে আচমকাই পথচলতি এক ব্যাক্তি প্রত্যক্ষ করে যে ব্লকচৌমুনী এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে৷
এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে ওই ব্যাক্তি৷ উনার চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসী সহ পার্শবর্তী বাড়িঘরের লোকজন ছুটে এসে তেলিয়ামুড়া অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরে ফোন করে৷ কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ ফোন করে যাওয়া সত্ত্বেও তেলিয়ামুড়া অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের টেলিফোন নম্বরটি ব্যাস্ত দেখাচ্ছিলো৷ পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ছুটে গিয়ে তেলিয়ামুড়া অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের খবর দিলে অগ্ণিনির্বাপক দফতরের কর্মীরা ছুটে এসে আগুন আয়ত্বে আনার আগেই সব শেষ হয়ে যায়৷তবে ৭টি দোকানে সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা৷
তবে এই অগ্ণিকাণ্ডে তেলিয়ামুড়া ব্লক চৌমুহনি এলাকার ৭ ব্যাবসায়ীর মধ্যে ৪ ব্যাবসায়ীর আংশিক ক্ষয় ক্ষতি হলেও ৩ ব্যাবসায়ী সর্বস্বান্ত হয়ে যায়৷ কারণ তাদের রুজি রোজগারের একমাত্র পথ ছিল এই দোকানগুলো৷ তবে রাতের অন্ধকারে আচমকা শর্ট সার্কিটের থেকে অগ্ণিসংযোগের ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷