BRAKING NEWS

Garbage in various crowded places : তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদ কর্তৃক বিভিন্ন জনবহুল স্থানে নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আমবাসা, ৩০ আগস্ট।। তেলিয়ামুড়া শহরকে সুন্দর নির্মল স্বচ্ছ রাখার জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে প্রায়শই স্বচ্ছ ভারত অভিযানে নামতে প্রত্যক্ষ করা যায়। কিন্তু তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদ কর্তৃক বিভিন্ন জনবহুল স্থানে নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যাতে করে দুর্গন্ধে ছেয়ে যাচ্ছে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর এলাকা। এতে করে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তেলিয়ামুড়া শহরে নোংরা আবর্জনা যত্রতত্র ফেলার কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, বিগত প্রায় ১০ বছর আগে শহরের অনতিদূরে গড়ে উঠা সাত মাইল এলাকায় ডাম্পিং স্টেশন এলাকাবাসীদের বাঁধা দানের ফলে বদ্ধ হয়ে পড়েছে।

ডাম্পিং স্টেশনে নোংরা আবর্জনা ফেলার কাজ বাধ্য হয়ে বন্ধ করতে হয়েছে তেলিয়ামুড়া পুরো পরিষদকে। ডাম্পিং স্টেশনে তেলিয়ামুড়া পুরো এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা আবর্জনা ফেলা হতো। বর্তমানে সাতমাইল এলাকায় নোংরা আবর্জনা ফেলার কাজ বন্ধ থাকার ফলে তেলিয়ামুড়া পুরো পরিষদ পড়েছে বেকায়দায়। ফলে বাধ্য হয়ে তারা তেলিয়ামুড়া শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে স্তূপাকারে আবর্জনা ফেলছে। আর এই নোংরা আবর্জনা গুলি থেকে দুর্গন্ধে ছয়লাপ তেলিয়ামুড়া শহর এলাকা । নোংরা আবর্জনা গুলির মধ্যে বেশিরভাগ প্লাস্টিক জাতীয় আবর্জনা থাকার কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহল।তেলিয়ামুড়া পুর এলাকার করইলং খোয়াই চৌমুহনী, নেতাজি নগর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা, গামাই বাড়ি ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা সহ আরো কয়েকটি স্থানে এ ধরনের স্তূপাকারে রাখা আবর্জনা গুলো পরিলক্ষিত হয়।

সাতমাইল এলাকায় ডাম্পিং স্টেশনে নোংরা আবর্জনা ফেলার কাজ এলাকাবাসীর বাঁধা দেওয়ার পর কয়েক দফায় প্রশাসনের উচ্চ স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পুর পরিষদ বৈঠক করে। এমনকি জেলা শাসক স্মিতা মলের পৌরহিত্যেও সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বৈঠক হলেও এর সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদ তেলিয়ামুড়া শহর এলাকার বিভিন্ন স্থানে নোংরা আবর্জনা গুলো ফেলছে বলে জানা যায়। পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলের অভিমত, পুর পরিষদ কর্তৃক নোংরা আবর্জনা গুলো ফেলার পর যদি সেগুলোর উপর মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া যায় তবে দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা কিছুটা হলেও হ্রাস পেতে পারে বলে অভিমত তাদের। সে সঙ্গে পরিবেশ দূষণও কম হবে বলে মনে করছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *