আগরতলা, ২৮ আগস্ট : বিশালগড়ের অফিস টিলায় জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে অটোচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে চলেছে শাসক দল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যে সরকারের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি তোলাবাজি সংস্কৃতির। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ শাসক দলের নেতারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় গলায় একাধিকবার তোলাবাজি সংস্কৃতি রাজ্যে বিলুপ্ত হয়েছে বলে দাবি করলেও শনিবার বিশালগড় অফিস টিলাস্থিত জাতীয় সড়কে ধরা পড়ল অন্য চিত্র।
শাসক দল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন বিএমএসের বিশালগড় সিন্ডিকেট শাখা এবং গোকুলনগর সিন্ডিকেট শাখা যৌথভাবে অফিস টিলায় জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচলকারি অটো দাঁড় করিয়ে অটো থেকে চাঁদা আদায় করে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে অকপটে তা নিজের মুখে স্বীকারও করেছেন নেতা বাবুরা।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এক অটোচালক জানানা, তিনি বিশালগড় এর কোন সিন্ডিকেটের অধীনে গাড়ি চালান না। তিনি বাবুল চৌমুহনী সিন্ডিকেটের অধীনে গাড়ি চালান। তবুও তার কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করেছে বি এম এস নেতারা। রাস্তায় চলাচল করা প্রত্যেক গাড়ি থেকে কাগজপত্র চেকিং করে ট্রাফিকের মত করে ফাইন আদায় করছে বিএমএস কর্মীরা।
প্রশ্ন উঠছে বিএমএস কর্মীরা কি করে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে? পুরো ঘটনা সম্পর্কে যখন বিএমএস এর এক নেতাকে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি জানান তাদের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুসারে তারা বিশালগড় অটোচালকদের কাছ থেকে ফাইন আদায় করছে। কিন্তু যখন উনার কাছে রাজ্য কমিটির প্রদান করা লিখিত প্রতিলিপি সাংবাদিকরা চায় তখন কথার ১৮০° ঘুরিয়ে জেলা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে টাকা তোলা হচ্ছে বলে জানান।
কিন্তু জেলা কমিটির সিদ্ধান্তের কোনো লিখিত প্রতিলিপিও দেখাতে পারেননি বিএমএস নেতারা।এদিন যে নেতারা রাস্তায় ফাইন তুলছিলেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা। অভিযোগ যে নেতারা এদিন জাতীয় সড়ক আটকে ফাইন তুলছিলেন তারা বিগত দিনে সিপিএম সমর্থক বলেও দাবি একাংশের। এখন দেখার তুল্লা আদায়কারীরা কি আদতেই শাসক দলের।

