নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ আগস্ট৷৷ রাজ্যে কংগ্রেসের মরা গাঙে পাল তোলার জন্য হাইকমান্ড কার্যত তিনজনকে সভাপতি পদে অঘোষিত ভাবে বসিয়েছিল৷ আর এই বিষয়টিই দলরে অভ্যন্তরে আরও বেশী করে ক্ষয়রোগ ধরিয়ে দিয়েছে৷ মতের অমিল তো ট্রেডিশনাল৷ তার উপর তিন নেতাকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া, তাতে কেউই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না৷
হাইকমান্ডের নির্দেশে দায়িত্ব তে বুঝে নিয়েছেন, কিন্তু এই ত্রয়ী করো কমান্ড কেউ শুনছেন না৷ তাতে করে পোস্টফিস চৌমুহনীর কংগ্রেস ভবনে পরস্পরে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার দৃশ্য প্রকাশ্যে আসছে৷ এরই মধ্যে পরশু সকাল-সন্ধ্যা নাটক মঞ্চস্থ করে ফেললেন পিসিসির সভাপতি পিযুষ কান্তি বিশ্বাস৷ সকালে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন৷ আর সন্ধ্যায় ইস্তফা প্রত্যাহার করলেন৷ এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য হল রাজ্যে হাস্যকর কংগ্রেস৷
কিন্তু, পিযুষ কান্তি বিশ্বাস ইস্তফা প্রত্যাহার করে নিলেও সংকট কাটেনি৷ তিনি ইস্তফা দিয়ে যেসব বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয় এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে দিয়েছেন তাতে তিনি অন্য দুই অঘোষিত সভাপতিকে রীতিমতো কাটা ঘায়ে নুন ছিটিয়ে দিয়েছেন৷ গোপাল চন্দ্র রায় এবং বীরজিৎ সিনহা এখন আরও বেশী করে অসহযোগিতা করবেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের৷
মূলতঃ এক বনে তিন বাঘ কোনমতেই টিকেনা বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি৷ গত, ২রা আগস্ট রাজ্য সফরে এসেছিলেন কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সদস্য অবিনাশ পাণ্ডে ও ছত্তিশগড়ের মন্ত্রিসভার সদস্য টি এস সিং দেও৷ হাইকমান্ডের নির্দেশে পিযুষ বিশ্বাস, গোপাল রায় এবং বীরজিৎ সিনহাকে দলীয় সংগঠনের জেলা ভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল৷ তাতে, পিযুষ কান্তি বিশ্বাসকে দেয়া হয়েছিল সদর, খোয়াই এবং দক্ষিণ জেলা, গোপাল রায়কে দেয়া হয়েছিল বিশালগড়, সোনামুড়া এবং গোমতী জেলার দায়িত্ব৷ অন্যদিকে উত্তর, ধলাই এবং ঊনকোটি জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল বীরজিৎ সিনহাকে৷ গোটা রাজ্যে যেখানে সাম্রাজ্য ছিল পিযুষ বিশ্বাসের সেখানে মাত্র তিন জেলার দায়িত্ব পেয়ে রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েন তিনি৷ রাজ্যে কংগ্রেসকে বাঁচাতে তিন সভাপতির যে ফর্মুলা হাইকমান্ড নিয়েছিল সেটা এখন কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের ট্রেডিশানকে আরও একবার প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের দাবি৷

