রাজ্যসভায় কেঁদে ফেললেন নাইডু, দু’দিন আগেই শেষ লোকসভার অধিবেশন

নয়াদিল্লি, ১১ আগস্ট (হি.স.): নজিরবিহীন হইহট্টগোলের সাক্ষী থেকেছে এবারের বাদল অধিবেশন। বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই পেগাসাস, কৃষি আইন-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সংসদের উভয়কক্ষ। প্রতিদিনই একাধিকবার মুলতুবি করতে হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। মঙ্গলবারই অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সংসদের উচ্চকক্ষ। মঙ্গলবারের হইহট্টগোল নিয়ে বলতে গিয়ে বুধবার কেঁদেই ফেললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। বিরোধীদের আচরণে ক্ষুণ্ন হয়েই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন নাইডু।

পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের আগেই লোকসভায় শেষ হয়ে গেল বাদল অধিবেশন। আগামী ১৩ আগস্ট, শুক্রবার সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিরোধীদের বিক্ষোভ, হাঙ্গামার মধ্যে প্রত্যাশা মতো কাজ হয়নি বলেই বুধবার লোকসভায় বাদল অধিবেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর এদিনও রাজ্যসভায় হইহট্টগোল করেন বিরোধীরা। তাই দুপুর বারোটা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন।

মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে চরম অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনটি কৃষি আইন খারিজ করার দাবিতে, বিরোধীরা মঙ্গলবার বসে পড়েন চেয়ারম্যানের সামনে ‘রিপোর্টারস’টেবিল’-এ! শুধু তাই নয়, স্লোগান দিতে দিতে এক সাংসদকে বিধিনিয়মের ফাইল ছুড়ে মারতেও যায়। ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই বুধবার বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের পবিত্র স্থানে মঙ্গলবার যা ঘটেছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে তার পরিণাম ভেবে আমি সত্যিই ভীত।’’ মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন নাইডু।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই সংসদে শুরু হয়েছিল বাদল অধিবেশন। প্রথম দিন থেকেই পেগাসাস, কৃষি আইন, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধের সংসদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। শুরু থেকেই প্রায় প্রত্যেক দিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টায় মুলতুবি থেকেছে উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষের অধিবেশন। স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়েছে প্রতিদিনই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *