নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ৫ আগস্ট৷৷ অবৈধ ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই পার্টির মধ্যে হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ৷ এ ঘটনায় মোট ছয়জন আহত হয়৷এর মধ্যে গুরুতর ভাবে আহত হন আনোয়ার হোসেন(২৮) ও সালমান হোসেন (২২) নামে দুই যুবক৷তারা বর্তমানে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন৷
ঘটনার বিবরণে জানা যায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় বক্সনগর বাজারে দশমি ঘাটের সামনেই হয় সংঘর্ষ৷ মধ্যবক্সনগর পশ্চিমপাড়া এলাকার হাবিল মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া ও সমীর মিয়া নামে দুই যুবক প্রথমে বাইকে করে বক্সনগর বাজারের দিকে আসতেই বক্সনগর পঞ্চায়েত এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবক রাস্তার মধ্যে জুয়েল ও সমীরকে বাইক থেকে নামিয়ে প্রকাশ্যে চড়,থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে৷
পরবর্তী সময়ে জুয়েল ও সমীর এই ঘটনাটি তাদের এলাকায় জানালে দুই পরিবারের থেকে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি টিম এসে পুনরায় আনোয়ারকে বাজারে প্রকাশ্যে লাঠি, রড দিয়ে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়৷ তারপর এই ঘটনা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে৷ দুই পক্ষ থেকে পরিবারের লোকজন দা,রট, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসে৷ দুই পক্ষের মধ্যে হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ৷একে অপরের উপর হামলা চালায়৷এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মোট ছয়জন রক্তাক্ত হয়৷ এরমধ্যে বেশি রক্তাক্ত হয় আনোয়ার হোসেন ও সালমান হোসেন৷আনোয়ার হোসেনের মাথায় মোট সাতটি সেলাই লাগে৷অপরদিকে সালমানের হাতে ছয়টি সেলাই লাগে৷ তাছাড়া আহত হয়েছেন সমীর হোসেন( ২৬), জুয়েল মিয়া (১৯), ময়নাল হোসেন (৫৪)ও সাদ্দাম হোসেন( ২৫)৷ ঘটনাটি বাজারে প্রকাশ্যে হয়েছিল৷কয়েক শতাধিক লোক এই ঘটনাটির প্রত্যক্ষ ছিল৷ পুরোপুরি বাংলা সিনেমার ঘটনার মতো৷দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দর্শক সাধারন জনগন৷পরবর্তী সময়ে এই ঘটনা কলমচৌড়া থানায় খবর দিলে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে৷যদি পুলিশ সঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌছাতো তাহলে বক্সনগর বাসি বৃহস্পতিবার দু-একটা লাশের সাক্ষী হয়ে যেত৷ এমন ধরনের ঘটনা বক্সনগরে নতুন কিছু নয়৷
বক্সনগর যদি কোনো ঝগড়া-বিবাদ হয় তবে সেটা অবৈধ ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই হয়৷ যদি অতিসত্বর এই নেশা মুক্ত না করা যায় তাহলে এমন ধরনের ঘটনা বাড়তেই থাকবে৷ জানা গেছে ঘটনার সূত্রপাত হয় কিছুদিন পূর্বে মধ্য বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের হারুন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি পশ্চিম পাড়া এলাকার ময়নান হোসেনের প্রায় নয় লক্ষ টাকার বাজি বাড়িতে মজুদ করা অবস্থায় বিএসএফকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়৷আর তাতেই পুরো এলাকায় সোহেল মিয়া কে দায়ী করে৷এই বিষয়ে সালিশি সভা হওয়ার কত ছিল৷তবে সোহেলের বাবা তা মানেননি৷ সোহেলের ভাই রাজিব নামে এক যুবক আহত আনোয়ার হোসেনের বিজনেস পার্টনার৷
বিএসএফের আটককৃত বাজি গুলি ছিল ময়নাল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম, সালমান, ও জুয়েল বিজনেস পার্টনারদের৷হয়তো এই কারণে আনোয়ার হোসেন প্রথমে জুয়েল ও সমীরকে রাস্তায় বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে মারধর করে৷ এই ঘটনায় দুই পক্ষ থেকেই পাল্টা মামলা করা হয়৷ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে পুরো বক্সনগর থমথমে পরিবেশ৷ মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট টি এস আর ও পুলিশ বাহিনী৷ বক্সনগর কিছুদিন বাদে বাদে চলছে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ৷ তবে এ সংঘর্ষে রক্তারক্তি ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে থাকে৷ যদি পুলিশ এর সঠিক ব্যবস্থা না নেয় তবে আগামী দিনে কোন বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে৷ বক্সনগর এর রমরমা ব্যবসার ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হবে৷এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এই কি ভূমিকা গ্রহণ করে৷ এইটাই এখন লাক্ষ টাকার প্রশ্ণ৷

