নয়াদিল্লি, ৪ আগস্ট (হি.স.) : রাজ্যসভায় এক দিনের জন্য সাসপেন্ড হলেন ছয় তৃণমূল সাংসদ। শান্তনু সেনের পর আরও ছ’জন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদকে বুধবার সাসপেন্ড করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তাঁরা হলেন, নাদিমুল হক, আবির বিশ্বাস, শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষ এবং মৌসম বেঁজির নূর। তবে শান্তনু সেনকে পুরো বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হলেও এই ছয় সাংসদকে শুধুমাত্র আজকের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এদিন সাংসদরদের ক্ষেত্রেও রাজ্যসভার অধিবেশনে নিয়ম বিরুদ্ধে ভাবে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন, হট্টগোল পাকানো ইত্যাদির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ছয় তৃণমূল সাংসদকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্যসভা। প্রথমে শান্তনুকে পুরো অধিবেশন সাসপেন্ড, তারপর ডেরেক ও’ব্রায়েনের পাপড়িচাট মন্তব্য নিয়ে জাতীয় রাজনীতি সরগরম হওয়া এবং এদিন আরও ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সব দেখে অনেকেই বলছেন সংসদের বাদল অধিবেশন কার্যত বঙ্গ রাজনীতির বক্সিং রিংয়ে পরিণত হয়েছে। এ রাজ্যেও যে ভাবে তৃণমূল বনাম বিজেপি লড়াই চলছে তেমন সংসদেও একই ছবি। সংসদে কেন্দ্র বিরোধী আগ্রাসী মনোভাব এবং একের পর এক ঘটনায় বিরোধী দলগুলির মধ্যে তৃণমূল যে সমস্ত আলো শুষে নিয়েছে এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তৃণমূল গোটা ব্যাপারটাকে নিজেদের রাজনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখতে চাইছে।
রাজ্যসভার অধিবেশনে আইন পাশকে পাপড়িচাট বলে মন্তব্য করেছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তা নিয়ে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বলেছিলেন, ‘যে ভাষায় তৃণমূল সাংসদ কথা বলেছেন তা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। এতই তাঁর ঔদ্ধত্য যে তিনি ক্ষমাও চাননি।’ তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে গেছে তাই তৃণমূল দলটা যাতে পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে না পারে তার চেষ্টা চালাচ্ছে। এইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠস্বর আটকে রাখা যাবে না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।