রাঁচি, ৩১ জুলাই (হি.স.) : ঝাড়খন্ডের অতিরিক্ত জেলা বিচারক (এডিজি) উত্তম আনন্দের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়খন্ড সরকার। জানা গেছে, ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করার কথা বলেছেন। মৃত বিচারপতির মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত আগেই দাবি করেছিলেন পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, প্রকাশ্য দিবালোকে ছক কষে খুন করা হয়েছে উত্তম আনন্দকে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ জেলার শিবপুরী এলাকার বাসিন্দা তাঁর পরিবার এমন দাবিই জানিয়েছিল। তারপর শনিবার জানা গেল শেষমেশ তাঁদের ইচ্ছাই পূরণ হচ্ছে। গত বুধবার প্রাতঃভ্রমণে বেরন উত্তম আনন্দ। তখনই পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ধানবাদে তিনি রাস্তার ধার ঘেঁষে হাঁটছেন, পিছন থেকে একটি টেম্পো গতিমুখ বদলে ছুটে এসে তাঁকে ধাক্কা মেরে চলে গেল। প্রথমে ভাবা হচ্ছিল এটা নিছক দুর্ঘটনা। কিন্তু পরে ক্রমশঃ সন্দেহের ছায়া ঘনিয়ে ওঠে।
প্রাথমিক ধারণা হল, কোনও মাফিয়া চক্র প্রতিশোধ নিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সম্প্রতি একটি মামলায় দুই গ্যাংস্টারের জামিন নাকচ করেছিলেন বিচারক আনন্দ। অনেকের সন্দেহ, সেই রাগেই বিচারকের উপর হামলা চালিয়েছে সমাজবিরোধীরা। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রয়াত বিচারক আনন্দের বাবা সদানন্দ প্রসাদ, ভাই শম্ভু সুমন, উভয়েই হাজারিবাগের আইনজীবী। আনন্দকে ধাক্কা মেরে ছুটে পালিয়ে যাওয়া টেম্পোটিকে ঘটনার দিন রাতেই গিরিডি জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে প্রকাশ, গত মঙ্গলবার সেটি চুরি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আনন্দের মৃত্যুর তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ ডিরেক্টর জেনারেলের নেতৃত্বে সিট গড়া হয়েছে। ঘাতক টেম্পোর চালক, তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চালক বিচারককে ধাক্কা মারার কথা স্বীকার করেছে বলে খবর। টেম্পোটি পরীক্ষা করে দেখেন শীর্ষ পুলিশ অফিসাররা।