কলকাতা, ৩১ জুলাই (হি স)। বাবুল সুপ্রিয়র ইস্তফার ঘোষণায় আসানসোলের উপনির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের খবর, বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় আশাবাদী তৃণমূল, শঙ্কিত বিজেপি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। অঙ্কের হিসাবে তৃণমূল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ৫৪ হাজার ৮১১ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই বাবুলবাবু এই আসন থেকে ইস্তফা দিলে সেখানে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। আর সেক্ষেত্রে এই আসন বিজেপির পক্ষে বের করা অনেকটাই চাপের হয়ে যাবে।
সেই কারনেই হয়তো দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাবুলবাবু তাঁদের সহকর্মীই থাকবেন। কেননা বিজেপি একদমই চাইবে না এই আসনটি হাতছাড়া করতে। যদিও কারও কারও আশঙ্কা, বাবুলবাবুকে দিয়ে কার্যত বিজেপি ছাড়ার প্রক্রিয়া সবে শুরু হল। আগামী দিনে এই তালিকায় আরও অনেক সাংসদের নাম দেখা যেতেই পারে। তা সে বাংলা থেকে হোক কী ভিন্ন রাজ্য থেকে।
বিধানসভা ভোটে পরাজয় এবং পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়ে বাবুলবাবু এমনিতেই ক্ষুন্ন ছিলেন। তখন থেকেই তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিলেন। বস্তুত, নিভৃতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি দিল্লি ছেড়ে মুম্বই চলে যান। মুম্বইয়ে নামার আগে মোবাইল থেকে ‘ডিলিট’ করে দেন ফেসবুক এবং টুইটারের দু’টি অ্যাপও। ঘনিষ্ঠমহলে বলেন, রাজনীতি থেকে কয়েকদিন ছুটি নিয়েছেন।
মুম্বই থেকে তিনি দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন। সংসদের বাদল অধিবেশনেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। এর পর তিনি আবার ফেসবুকে পোস্ট করা শুরু করেন। গত কয়েকদিনে তাঁর সে সব পোস্ট নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ফেসবুকে দীর্ঘ স্টেটাস লিখেই রাজনীতির ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়।