তিরুবনন্তপুরম, ১০ জুলাই (হি.স.): কেরলে মোট ১৪ জনের শরীরে পাওয়া গেল জিকা ভাইরাস। শুক্রবার ১৩ জনের শরীরে জিকার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি। এর আগে ২৪ বছরের এক তরুণীর শরীরে মিলেছিল জিকা ভাইরাস। সব মিলিয়ে কেরলে ১৪ জনের শরীরে মিলল জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি। কেন্দ্র থেকে ৬ সদস্যের এক দলও গিয়েছে কেরলে।
কেরল সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৪ বছরের তরুণীর শরীরে জিকা ভাইরাস মেলার পর ১৯ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। সেখানে ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বীণা জর্জ। কেন্দ্র থেকে ৬ সদস্যের এক দলও গিয়েছে কেরলে।
উল্লেখ্য, জিকা ভাইরাস মশাবাহিত এক রোগ। মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকে। এই রোগে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গুর মতোই লক্ষণ দেখা দেয়। প্রবল জ্বর, গাঁটে ব্যাথা ছাড়াও, শরীরে র্যাশ বের হতে দেখা যায়। এমনকি শরীরের জটিলতা বাড়িয়ে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে জিকা।এই জিকা ভাইরাস মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ও ভ্রুণের। গর্ভবতী মহিলারা যদি জিকা ভাইরাস -এ আক্রান্ত হন, তাহলে শিশু বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শিশুর মস্তিষ্ক স্বাভাবিকের থেকে ছোট আকারের হতে পারে। মস্তিষ্ক বিকাশও থমকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে গর্ভস্থ সন্তান ও মায়ের।
কেরলে প্রতি বছরই প্রায় জিকা সংক্রমণ ছড়ায়। স্বাস্থ্য মহলের মতে, ডেঙ্গির মতো জিকার মশাও পরিষ্কার জলে জন্মায়। নতুন সংক্রমণ স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তায় ফেলেছে সরকারকে। জিকা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বীণা জর্জ। কেন্দ্র থেকে ৬ সদস্যের এক দলও গিয়েছে কেরলে।