ধর্মনগর, ৮ জুলাই : ধর্মনগর মুহকুমার কৃষ্ণপুর বাজার সংলগ্ন কাকড়ি নদীর পাড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার কাজে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ঠিকেদার নারায়ণ নাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, নদীর পাড় ভাঙ্গন রোধে নদীর পাড়ে দুই পর্যায়ে ৩০ হাজার সিসি ব্লোক বসানর কাজ চলছে। সিমেন্ট বালু কংক্রিট মিশ্রনে ব্লোক তৈরি করে নদীর পাড়ে বসানোর জন্য বরাদ্দকৃত আনুমানিক প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার কাজের বরাদ পেয়েছেন ঠিকেদার নারায়ণ নাথ চৌধুরী।
বিগত কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে ঠিকেদার নারায়ণ নাথ চৌধুরী অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ করাচ্ছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সরজমিনে কাজটি খতিয়ে দেখতে কৃষ্ণপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে কাজের জায়গায় যান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত দেব, যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ। ঠিকেদার নারায়ণ নাথ চৌধুরী পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত কয়েকমাস পূর্বে নারী কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগে পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যানের পদও হারিয়েছেন নারায়ণ বাবু ।
এছাড়াও একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে এই ঠিকেদারের বিরুদ্ধে । তারপরও কি ভাবে কোটি কোটার ঠিকাদারী কাজ করছেন নারায়ণ নাথ চৌধুরী প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয় জনগণের মধ্যে। তাহলে কি একাংশ আমলাদের ম্যানেজ করেই সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে ? এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সহ দপ্তরের আধিকারিকদরা কাজের সাইট পরিদর্শন করতে গেলে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করতে শোনা গেছে।
রাজ্যে উন্নয়নের লক্ষে কোটি কোটি বরাদ্ধ করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু একাংশ অসাধু ঠিকেদাররা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ করে উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করছে।এখন দেখার সংশ্লীষ্ট দপ্তর এই কাজ খতিয়ে দেখার পর কি ভুমিকা গ্রহন করে।