নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম/ চুড়াইবাড়ি, ৫ জুলাই৷৷ ঔষধ এবং এক্সরে মেশিন প্রচার এর নাম করে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করছে দুই যুবক৷এমন সময় পুলিশের কাছে হাতে নাতে আটক করে দুই যুবককে৷ঘটনা কমলাসাগর বিধানসভার মধুপুর বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ণ এলাকায়৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় সোমবার দুপুরবেলা দুই যুবক একটি টাটা ইন্ডিগো গাড়ি করে আর সেই গাড়ির উপর মাইক বেঁধে প্রচার করছে বিশালগড় নারায়ণ কর মালিক নাকি তাদেরকে প্রচারের জন্য পাঠিয়েছে মাইক যুগে প্রচারের জন্য৷ আর প্রচার করতে হবে বিশালগড় এক্সরে মেশিন দ্বারা সুদক্ষ ডাক্তারের মাধ্যমে এক্সরে করা হয়৷
পরবর্তী সময়ে কমলাসাগর দিক থেকে আসা মধুপুর বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ণ এলাকায় আসতে মধুপুর থানার পুলিশ টহলদারি ছিলেন৷ এমন সময় সন্দেহ হওয়াতে সেই গাড়ি আটক করে৷ গাড়ির নম্বর টিআর০১ বি০৪০৫৷ পরে সেই গাড়িটি থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট এর কৌটা সিগারেটের প্যাকেট এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম নেশাজাতীয় আটক করে৷ আটক হওয়া যুবকের নাম সুব্রত দাস এবং সৌরভ দাস৷ পরবর্তী সময়ে মধুপুর থানার সেকেন্ড অফিসার শুভজিৎ দেব তাদের জিজ্ঞেস করলে তাদের কথাবার্তা অসংলগ্ণতা পাওয়াই তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায় মধুপুর থানায়৷ এখন প্রশ্ণ হলো ওষুধের প্রচার নাম করে কি করে নেশা জাতীয় দ্রব্য পাচারে মেতে উঠেছেন একাংশ পাচারকারী তা ঐদিন প্রমাণিত জানা যায় ওই পাড়ের উদ্দেশ্যে কমলাসাগর কিংবা রাধানগর ইত্যাদি এলাকায় নেশার ট্যাবলেট দিয়ে আসার পথে কৌটা গুলি উদ্ধার করতে পারে৷ যদি কমলাসাগর যাওয়ার পথে তল্লাশি চালাতে পারত তাহলে হয়তো বড় ধরনের সাফল্য আসতো৷
রাজ্যে পাচারের পথে অসম ত্রিপুরা সীমান্তের কাঁঠালতলি পুলিশের জালে ব্রাউন সুগার সহ আটক দুই যুবক৷ মূলত বিকল্প জাতীয় সড়ক কাঁঠালতলিকে করিডোর করে দীর্ঘদিন ধরে সর্বনাশা নেশার রমরমা কারবারের অভিযোগ রয়েছে৷এই রুট দিয়ে পাশ্ববর্তি অসমের করিমগঞ্জ থেকে রাজ্যে ও পাশ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে মাদক পাচার হয়ে আসছে৷ অনুরুপ আজ ফের এই পথে ব্রাউন সুগার নিয়ে রাজ্যে প্রবেশের পথে অসম ত্রিপুরা সীমান্তে দুই যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করল অসমের কাঁঠালতলি পুলিশ৷এ মর্মে স্থানীয় পুলিশের ইনচার্জ সঞ্জীত সিনহা জানান, গত কয়দিন ধরে কাঁঠালতলিতে পুলিশের রুটিন মাফিক নাকা চেকিং চলছে৷আজ বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ পুলিশের নাকা চেকিংয়ের সময়ে বিভিন্ন যান বাহনে তল্লাশি চালায় পুলিশ৷
ঠিক তখন তিন যুবক একটি বাইকে করে ড্রাগস নিয়ে ত্রিপুরা প্রবেশের পথে তাদেরকে চেকিংয়ের জন্য দাঁড় করালে একজন অবস্থা বেগতিক দেখে কেটে পড়ে৷পরে দুজনকে আটক করে তাদের পকেট চেক করলে একজনের প্যান্টের পকেট থেকে মোট(১৯)কৌটা মাদক জাতিয় পদার্থ উদ্ধার করে অসম পুলিশ৷যার বাজার মুল্য অনুমানিক কুড়ি হাজার টাকার মত হবে৷এ কান্ডে ধৃতদের মধ্যে রয়েছে উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুরাইবাড়ি থানাধিন রবিদাস পাড়ার মৃত মনোহর আলীর ছেলে আসকর আলী(১৯)এবং অপরজন শঙ্কর সাহানির ছেলে রাকেশ সাহানি(২৩)৷তার বাড়ি একই এলাকার স্টেশন রোডে৷বর্তমানে ধৃতদের অসমের বাজারিছড়া থানায় আটকে রেখে টানা জেরা চালিয়ে যাচ্ছে অসম পুলিশ৷আগামিকাল ধৃতদের করিমগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং আটক নেশা সামগ্রীগুলো ফরেনসিক ল্যাবে টেস্টের জন্য প্রেরণ করা হবে৷

