StartUp Tripura : ত্রিপুরাকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আইটি হাব করতে চাইছি : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ জুলাই : ত্রিপুরাকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আইটি হাব করতে চাইছি। তাই ত্রিপুরা সরকার ২০১৯ সালে আই টি স্টার্ট-আপ প্রকল্প চালু করেছে। রাজ্যে আই টি স্টার্ট-আপ-এর উপযোগী পরিবেশও গড়ে তোলা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিল্প উদ্যোগীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এবং পরিকাঠামোর উন্নয়নে আর্থিক সহায়তাও করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্যে ১০০টি স্টার্ট-আপ তৈরি করা। এই উদ্যোগ ত্রিপুরাকে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন স্বপ্ন দেখাবে।যা বাস্তবায়িত করবে রাজ্যের তরুণ প্রজন্ম। আজ সচিবালয়ের ভিডিও কনফারেন্স হলে ত্রিপুরায় প্রথমবারের মত আয়োজিত ত্রিপুরা স্টার্ট-আপ সপ্তাহের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ-কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে উত্তর পূর্বাঞ্চলকে আই টি সেক্টরে উন্নয়ন করার লক্ষ্যে বর্তমান কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক নিরলসভাবে কাজ করছে। আমাদের রাজ্য ভৌগোলিক দিক দিয়ে ছোট হলেও স্টার্ট-আপ স্থাপনে প্রয়োজনীয় পরিবেশ রয়েছে। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ রাজ্যের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় সহজেই আই টি সেক্টরের বড় বাজার পাওয়া যাবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে খুব কম সময়ের মধ্যেই চিটাগাঙ বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সংযোগরক্ষাকারী মৈত্রী সেতুর উদ্বোধনও করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সড়কপথে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা খুলে গেছে। সবকিছু মিলিয়েই বাংলাদেশ রাজ্যের স্টার্ট-আপের জন্য বড় বাজার হতে পারবে, আশা প্রকাশ করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর মতে, ত্রিপুরা স্টার্ট-আপ শুধু ত্রিপুরার নয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্যও রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি জানান, খুশির বিষয় যে রাজ্যের ৩৫টি স্টার্ট-আপ ন্যাশনাল পোর্টালে যুক্ত হয়েছে। আজ উদ্বোধনীর দিনেই ত্রিপুরা স্টার্ট-আপের সঙ্গে প্রায় ২ হাজার যুবক-যুবতী যুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশই রাজ্যের ছেলেমেয়ে। ত্রিপুরায় স্টার্ট আপ স্থাপনে উপযুক্ত পরিবেশ, হাইস্পিড ইন্টারনেট, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এটা খুশির বিষয় যে NASSCOM, ফ্লিপকাট, STPT-র মতো সংস্থাগুলি রাজ্যের স্টার্ট আপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। একে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরা স্টার্ট আপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যের যুবক-যুবতীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইকোনমিক হাব বানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন তা পূরনেও সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

এদিন তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও আমাদের রাজ্যে স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে রাজ্যে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায়। জনধন অ্যাকাউন্ট, ডি বি টি, স্মার্ট ফোন, ওয়াই-ফাই এই প্রযুক্তিগুলিই আমাদের করোনাকালীন পরিস্থিতিতে চলমান রেখেছে। একটা সময় ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া প্রকল্প নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এগুলিরই গুরুত্ব অনুভব হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *