আগরতলা, ২৪ জুন (হি. স.) : পূর্ণ ও বিকশিত নাগরিক হতে হলে শৈশবেই ছাত্রছাত্রীদের গুণমানসম্পন্ন শিখন অভিজ্ঞতায় গড়ে তুলতে হবে। শুধু তাই নয়, জীবনের প্রাথমিক বছরগুলিকে অনুপ্রেরণামূলক ও শিক্ষা বান্ধব করে তুলতে হবে। যাতে পরবর্তী জীবনে শিশুরা শিক্ষালাভে অনুপ্রাণিত হতে পারে। আজ ক্ষুদিরাম বসু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের প্রাক প্রাথমিক বইয়ের আবরণ উন্মোচন করে এ-কথা বলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে ত্রিপুরায় ৩ বছরের প্রাক প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যক্রম রচনা করা হয়েছে। নার্সারি, কেজি-১, কেজি-২ এই ৩টি বিভাগে বাংলা ও ইংরেজি এই দুই ভাষাতেই এই পাঠ্যক্রম রচনা করা হয়েছে। পাঠদানের সুবিধার জন্য টিচার্স হ্যান্ডবুক সহ প্রতিদিনের শিক্ষা দানের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। তাঁর কথায়, বর্তমানে ত্রিপুরায় ৮৮টি স্কুলে প্রাক প্রাথমিক স্তর রয়েছে। আগে শুধুমাত্র ৯টি স্কুলে তা ছিলো। আগামী শিক্ষাবর্ষে আরও ২০০টি বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক স্তর খোলার পরিকল্পনা রয়েছে ত্রিপুরা সরকারের। তাঁর বক্তব্য, কেবলমাত্র প্রাক প্রাথমিকস্তরে শিক্ষাদানের জন্য আলাদা কোনও শিক্ষক নেই। এজন্য দপ্তর ১৯৪ জন প্রাইমারি স্তরের শিক্ষককে প্রাক প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদানের জন্য চিহ্নিত করেছে। এই শিক্ষাদানের জন্য বিদ্যালয়গুলিতে রাউন্ড টেবিল, বসার জন্য মাদুর, ব্ল্যাক এবং গ্রীণ বোর্ড, বুক রেক, সু রেক-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রেণীকক্ষে প্লে কর্ণার ও রিডিং কর্ণারও রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিল্ডিং এস লার্নিং এইড প্রজেক্টে এসব বিদ্যালয়ের দেওয়াল, মেঝে, সিঁড়ি, শ্রেণীকক্ষের বাইরের দেওয়াল সবকিছুই সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে, যেন শিশুদের কাছে শিক্ষা আরও আনন্দদায়ক হয়ে উঠে। এ ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করায় শিক্ষামন্ত্রী এসসিইআরটি দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী নার্সারির একজন ছাত্রীর অভিভাবকের হাতে এবং একজন শিক্ষিকার হাতে শিখন সহায়ক বইগুলি তুলে দেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ করেন।

