চুরাইবাড়িতে যাত্রী সাধারণের নানান সমস্যার সমাধানের দাবীতে অবরোধ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২৩ জুন৷৷ এবার অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল চুরাইবাড়ি এলাকার জনগণ৷ চুরাইবাড়ি চেকপোস্ট সংলগ্ণ ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসল সানীয় জনগন৷ পন্যবাহী গাড়িগুলির সাথে স্থানীয় জনগণ সহ তাদের গাড়ি, বাইক ও টমটম গেইটের ভেতর দিয়ে সম্পূর্ণ চেকিংয়ের মাধ্যমে নিয়ে প্রবেশ করতে হবে৷ তাতে জনগণ চরম হয়রানির শিকার৷ সাথে টিএসার জোয়ানদের অকথ্য দূর্ব্যবহার৷ ক্ষোভ চুরাইবাড়ি পুলিশ প্রশাসনের উপর৷ অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে পথ অবরোধ প্রত্যাহার৷


ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,গত ৯ জুন চুরাইবাড়ি চেকপোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পর রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে একটি মাত্র রাস্তা অর্থাৎ চেকপোস্টের ভেতর দিকে প্রবেশ করতে হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে শুরু করে ছোট গাড়ি টমটম ও বাইক চালকদের৷ পাশাপাশি রাজ্য থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের একটি মাত্র পথ খুলে দেওয়া হয়৷ আর তাতে করে ত্রিপুরা অসম সীমান্তের প্রায় ১২ শ নাগরিক যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হন৷ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বহি রাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী লরি চালকরা৷ লরিচালকদের উপর মর্জি মাফিক ফাইন কাটা হচ্ছে বলেও চালকদের অভিযোগ৷ চালকরা অভিযোগ করে বলে আগামী দিনে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে আসবেনা৷


এদিকে স্থানীয় জনগণ রুজ তাদের ছোট গাড়ি টমটম ও বাইক নিয়ে বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ির পেছনে পেছনে চুরাইবাড়ি গেইট পার হতে ৩/৪ ঘন্টা সময় লেগে যাচ্ছে৷ অবশেষে নিরুপায় হয়ে আজ সকাল ছয়টা থেকে ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে স্থানীয় জনগণ সহ টমটম ও বাইক চালকেরা৷ তাদের দাবি, চেকপোস্টের ভেতর দিকে যেতে হলে তাদের দীর্ঘক্ষন লেগে যায়৷ তাছাড়া করোনাকালীন কারফিউ চলার ক্ষেত্রে ২ টার পর সকল কিছু বন্ধ হয়ে পড়ে৷ সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত যদি ছোট যান চালক সহ টমটম চালকেদের লাইনে কাটিয়ে দিতে হয়৷তাহলে তারা কিভাবে তাদের টমটম ও যাত্রীবাহী ছোটগাড়ি চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করবে৷


তার সুরাহা চেয়ে আজ রাস্তা অবরোধের সামিল হয় স্থানীয় জনগণ৷অবরোধকারীদের আরো অভিযোগ, বিগত ৯ জুনের পর থেকে তাদের এই সমস্যা সৃষ্টি হলে উনারা স্থানীয় থানা সহ পুলিশ সুপার ও ডিএম এর নিকট লিখিতভাবে তাদের সমস্যা অবগত করেছেন, বলেও তাদের অভিযোগ৷ কিন্তু তাতেও তাদের সমস্যা নিরসন হয়নি৷ অবরোধকারীরা অভিযোগ করে আরো বলেন, ৮ নং সড়কের উপর দিয়ে সীমান্তের স্থানীয় জনগণ যাতায়াত করতে গেলে কর্তব্যরত টিএসআর জওয়ানদের অকথ্য ভাষায় কথা সহ অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে৷ টমটম বা ছোট গাড়িতে কোন রোগী থাকলে টিএস আর জওয়ানদের বক্তব্য থাকে, ’রোগী মরলে মরুক মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ মানতেই লাগবে’৷


তাই স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে টমটম ও বাইক চালকেরা স্থায়ী সমাধানের দাবিতে পথ অবরোধের শামিল হল৷ তাদের অবরোধের ফলে রাজ্য থেকে বেরিয়ে যাওয়া যাত্রীবাহী পণ্যবাহী ও খালি গাড়ির দীর্ঘ লাইন পরিলক্ষিত হয়৷যাত্রী দুর্ভোগও দেখা দেয় চরমে৷ অবশেষে টানা ৪ ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ থাকার পর চুড়াইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাস বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পথ অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করেন যে, সীমান্ত এলাকার স্থায়ী জনগণ চলাচল ও তাদের টমটম, বাইক ও ছোট গাড়ি নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে জটিলতা না থাকে তার সুবন্দোবস্ত করা হবে৷ পাশাপাশি স্থানীয়রা নিজের ভোটার আইডি নিয়ে চলাচলের পরামর্শ দেন ওসি জয়ন্ত দাস৷ ওসির আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ অবরোধকারী জনগণ, টমটম ও বাইক চালকেরা তাদের পথ অবরোধ প্রত্যাহার করলেও উনারা স্থায়ী সমাধানের চাইছেন৷ স্থায়ী সমাধান না হলে চুরাইবাড়ি এলাকার জনগণ বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন বলেও জানান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *